জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লড়াই থামল ঘোলার নির্যাতিতার। সোমবার রাতে আরজিকর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোদপুর-ঘোলার নির্যাতিতা। আজই আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। গত শুক্রবার সোদপুর ঘোলার নির্যাতিতাকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর পেটে, হাতে কোপের চিহ্ন ছিল। আততায়ীরা তাঁর গলার নলি পর্যন্ত কেটে দেয়। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শরীরের সব ক্ষত চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির জেরে তাঁকে সার্জিক্যাল ইউনিটেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার তাঁর চিকিৎসায় ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করে আরজিকর। কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনও চেষ্টা-ই আর কাজে এল না। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই নির্যাতিতা। এই ঘটনায় ভরসন্ধেয় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বাধা দেওয়ায় ধারালো অস্ত্রের কোপে মহিলার গলার নলি কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা! একজন অভিযুক্তকে পাকড়াও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাকি দু'জন অবশ্য পলাতক। 


জানা গিয়েছে, ঘোলার মহিষাপোতা এলাকায় স্বামী ও এক ছেলের সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা। ঘড়িতে তখন সাড়ে ৮টা। অভিযোগ, বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে যায় ৩ দুষ্কৃতী। পাশেই চাউলপোতা এলাকায় বাঁশবাগানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। দুষ্কৃতীদের বাধা দেন নির্যাতিতা। নিজেকে বাঁচাতে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি ও চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। 'ধর্ষণে' বাধা পেয়ে তখন ওই মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে ৩ দুষ্কৃতী। গলার নলি কেটে দেয়! 


আরও পড়ুন, Smartphone: শখের স্মার্টফোন কেনার টাকা জোগাড়ে রক্ত বিক্রি করতে হাসপাতালে কিশোরী!


এদিকে ততক্ষণে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে চলে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। বাকি দু'জন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে। সেখানেই কদিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানি চলে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেশ হার স্বীকার করে নেন ওই নির্যাতিতা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)