Jalpaiguri: INTTUC নেতাকে প্রাণনাশের `হুমকি`, অভিযুক্ত দলেরই অপর নেতার অনুগামীরা
শাসকদলের `গোষ্ঠীকোন্দল` প্রকাশ্যে
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইএনটিটিইউসি (INTTUC) টাউন ব্লক সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি। একদল দুষ্কৃতীর দিকে অভিযোগের তির। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের টিবি হাসপাতাল পাড়ায়। অন্যদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্তরা নিজের এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা, কৃষ্ণ দাসের অনুগামী বলে পরিচয় দেওয়ায়, শাসকদলের 'গোষ্ঠীকোন্দল' প্রকাশ্যে ।
শুক্রবার কোতয়ালি থানায় আইএনটিটিইউসি (INTTUC) জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার উপস্থিতিতে ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান পুন্যব্রত মিত্র। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সামনে থাকা একটি টোটো স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই টোটো স্ট্যান্ডের দুই চালকের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। তারা আইএনটিটিইউসি-র টোটো ইউনিয়নের সদস্য। মাদক বিক্রির অভিযোগে দুই চালককে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছিলেন পুন্যব্রতবাবু। তাদের একজনকে পুলিস গ্রেফতারও করেছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কৃষ্ণ দাসের অনুগামী হিসেবে পরিচিত দিলীপ সরকার নামে এক ব্যক্তি, তার অনুগামীদের নিয়ে পুন্যব্রতবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। প্রতিবাদ করলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য ১২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেন রাজেশ লাকড়া।
যদিও কৃষ্ণ দাস বলেন, "আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। যদি কেউ আমার অনুগামী পরিচয় দিয়ে থাকে, তাহলে পুলিস তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। " অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস।
তৃণমূলের দুই নেতার বিরোধ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ জানান, যা ঘটেছে সেটা স্বাভাবিক। আর বেশিদিন এই তৃণমূল দলটা থাকবে না।