অনুপ দাস: ছেলের হাতে খুন বাবা। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সীমান্ত এলাকা গেদে উত্তর পাড়ায়। বড় পুত্রের বিয়ে নিয়ে বহুদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি ছিল। তার পরিণতিতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। অভিযুক্ত ছেলের নাম অরবিন্দ বিশ্বাস। পেশায় দিনমজুর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ, বিয়ে নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলে অরবিন্দ বিশ্বাস বাবা ও মাকে কোদাল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। তাতে গুরুতর জখম হন বাবা বাসুদেব বিশ্বাস ও মা মিনতী বিশ্বাস। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। সঙ্গে সঙ্গেই দম্পতিকে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানেই চিকিৎসকেরা বাবা বাসুদেব বিশ্বাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওদিকে মা মিনতি বিশ্বাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর সেখান থেকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেন চিকিৎসকরা। মায়ের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাসুদেব বাবুর তিন ছেলে। বড় ছেলে অরবিন্দ বিশ্বাস এখানে রয়েছে। বাকি দুই ছেলে কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন। বড় ভাই বিয়ে করেছিল। কিন্তু বড় বউ মেজ দেওরের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরপর এই নিয়ে অশান্তি শুরু হলে, বড় বউ বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর বড় ভাইয়ের সঙ্গে ডিভোর্সও হয়ে যায় তাঁর। ডিভোর্সের পরই মেজ ভাই দাদার প্রাক্তন স্ত্রী-কে বিয়ে করে বিদেশে চলে যান। 


আরও পড়ুন, Jalpaiguri Missing: বিয়ের প্রস্তাবে গররাজি, যুবতীকে তুলে নিয়ে ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাল প্রেমিক!


যদিও তারপরেও মেজ ছেলের সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল বাসুদেব বাবুর। আর সেখানেই বড় ছেলের আপত্তি ছিল। তার প্রাক্তন স্ত্রীকে বিয়ে করায়, অভিযুক্ত অরবিন্দ বিশ্বাস চায়নি যে মেজ ভাইয়ের সঙ্গে বাবা-মা কোনও সম্পর্ক রাখুক। কিন্তু বড় ছেলের দাবি মেনে তার আবদার মেটাননি বাবা-মা। তার পরিণতিতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা বলে জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ছেলে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিস। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)