নিজস্ব প্রতিবেদন:   বাবা উঠোন পরিস্কার করছিলেন। ছেলের ডাকে সাড়া দিতেই মাথা ঘুরেছিলেন। আর তাতেই বিপত্তি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথায় এসে পড়েছিল একটা মোটা কাঠের টুকরো। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ। বাবা-ছেলের ঘরোয়া অশান্তির পরিণতি যে এতটা ভয়ানক ও মর্মান্তিক হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের মুন্সিপুর গ্রামের বাসিন্দা যে অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছেলে ছিল মুন্সিপুর গ্রামের বাসিন্দা জম্বু শেখের চোখের মণি। ছেলে বলতে অজ্ঞান ছিলেন তিনি। কিন্তু ইদানীং ছেলে ইস্তাকের সঙ্গে তার সম্পর্কের একটু অবনতি হয়েছিল। কারণ একটাই। ইদানীং ছেলে মদ খাওয়া ধরেছিল। প্রায় রোজ রাতেই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত ইস্তাক। বাবা বারণ করেছিলেন। শোনা তো দূরের কথা বাবার কথা অমান্য করে ইস্তাক এলাকায় বিভিন্ন দুষ্কৃতীদের সঙ্গেও ওঠাবসা শুরু করে। মদের ঠেকেই আলাপ হয় তাদের সঙ্গে।


আরও পড়ুন: স্বামী কালো, তাই সবাইকে ঘুমের ওষুধ মেশানো খাবার খাইয়ে বাড়ির পিছনে বসেই আসল কাজ করলেন স্ত্রী!


এই নিয়ে জম্বুর সঙ্গে তাঁর ছেলে ইস্তাকের আরও সমস্যা বাড়তে থাকে। বুধবার রাতেও এই দুজনের মধ্যে ভীষণ অশান্তি হয়। সেকথা প্রতিবেশীরাও জানতেন। কিন্তু ইদানীং রোজই এই ঘটনা ঘটত বলে তাতে বিশেষ আমল দেননি কেউ।


বৃহস্পতিবার সকাল হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ইস্তাক। জম্বু সেসময় বাড়ির উঠোন ঝাড় দিয়েছিলেন। আচমকাই ছেলের গলা শুনতে পান। পিছন ফিরতেই একটা লাঠির আঘাত পড়ে তাঁর মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।


আরও পড়ুন: বৌদি যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন দাদার সঙ্গে নিজের বান্ধবীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ননদ, এরপর...


কান্না আর আর্তনাদে ততক্ষণ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, ছেলেই জম্বুকে খুন করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।