নিজস্ব প্রতিবেদন : সোনারপুরে ট্যাক্সিচালক হত্যায় নয়া মোড়। পুলিশি হেফাজতের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করল মূল অভিযুক্ত মধুমিতা মিস্ত্রি। রবিবার সকালে শৌচালয়ে গিয়ে গলায় ধারালো ধাতব পাত চালিয়ে দেয় মধুমিতা। গুরুতর জখম হন সে। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ক্ষত নিরাময়ে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শারীরিক চাহিদা মেটাতে অক্ষম স্বামী। তাই প্রেমিক চন্দনের সঙ্গে পেশায় ট্যাক্সিচালক স্বামী সমীরকে খুনের ছক কষে মধুমিতা। বাড়ির প্রধান দরজা খুলে রেখে, সেদিকে মুখ করে সমীরকে বসিয়ে রাতের খাবার খেতে দেন মধুমিতা। পূর্ব পরিকল্পনা মতো খাবার মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খোলা দরজা দিয়ে সমীরকে গুলি করে পালায় চন্দন। ভাতের থালার উপরই লুটিয়ে পড়ে সমীরের রক্তাক্ত দেহ। নিখুঁত পরিকল্পনা করে প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন করায় মধুমিতা।


আরও পড়ুন, মদ খেয়ে বিয়ে করতে এসে তুলকালাম বরের, ফিরতে হল 'বউ' ছাড়া খালি হাতেই!


অপরাধকে আড়াল করতে প্রোমোটিং ব্যবসার শত্রুতার গল্প ফাঁদে মধুমিতা। কিন্তু মধুমিতার কললিস্ট খতিয়ে দেখে ফাঁস হয় আসল ঘটনা। গ্রেফতার করা হয় মধুমিতা ও তার প্রেমিক চন্দনকে। এরপরই এদিন সকালে নাটকীয় মোড়। পুলিসি হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মধুমিতা। 'ব্লেড'জাতীয় ধারালো ধাতব পাতের আঘাতে মধুমিতার গলায় ২টি গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তারমধ্যে একটি ক্ষত গভীর। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন মধুমিতা।


আরও পড়ুন, স্বামী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম, ট্যাক্সিচালক খুনের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রী-ই


তবে জেলের মধ্যে কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে মধুমিতা একাণ্ড ঘটাল? তার কাছে কী করেই বা ধারালো ধাতব পাত এল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এঘটনার জেরে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে মধুমিতার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা।