নিজস্ব প্রতিবেদন : 'বেসুরো' বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। ফেসবুকে ফ্যানপেজে সরাসরি ব্যক্ত করেছেন ক্ষোভ। অসন্তোষ  জানিয়েছেন দলের একাংশের প্রতি। জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী রায়। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। আর এরফলেই উস্কে উঠেছে জল্পনা। তবে কি এবার বিজেপিতে (BJP) শতাব্দী? যে প্রশ্নের উত্তরে ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন বীরভূম সাংসদ। এহেন অবস্থায় শতাব্দীর ক্ষোভ প্রশমনে তত্পর হল তৃণমূল (TMC)। সাংসদ শতাব্দীর মানভঞ্জনের চেষ্টায় তাঁকে ফোন করলেন আরেক সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। জানতে চাইলেন ক্ষোভের কারণ। একইসঙ্গে দলের তরফে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও বীরভূমের সাংসদকে সৌগত রায় জানান বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে একদিকে দল যখন শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy) মানভঞ্জনে সচেষ্ট, তখন অন্যদিকে সাংসদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা খোঁচা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর পাল্টা দাবি, "কে বলেছে কাজ করতে পারেনি?  নিজের এমপি ফান্ডের টাকা নিজেই খরচ করেছেন।" প্রসঙ্গত, গতকাল ফেসবুকে ফ্যানপেজে দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন শতাব্দী রায়। তারপরই তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা। ওয়াকিবহল মহলের মতে সাংসদের অভিযোগের নিশানায় অনুব্রত মন্ডল-ই। নাম না করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। আর এবার তারই জবাব দিলেন অনুব্রত। 


আজ বাড়িতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মন্ডল (Anubrata Mondal) বলেন,  "কে বলেছে কাজ করতে পারেনি? নিজের এমপি ফান্ডের খরচ নিজেই করেছেন। আমরা এবিষয়ে জানি না। আর কাজ করতে পারেননি বলে কোনওদিন আমাকে জানাননি।" এর পাশাপাশি শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy)-এর বিজেপি (BJP)-তে যাওয়ার প্রসঙ্গে জল্পনা নিয়ে তাঁর জবাব, "আমি একজন কর্মী। আমি এবিষয়ে কিছু বলব না। আর বিজেপিতে যাওয়ার কথা তো এখনও কিছু বলেননি। কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে নিজে হেঁটেছেন শতাব্দী রায়! আর কি!"


আরও পড়ুন, 'কাল দিল্লি যাব, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা হতেই পারে', বললেন Shatabdi


প্রসঙ্গত, এদিন Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে তৃণমূলের বীরভূমের সাংসদ স্পষ্ট জানান, "আমার তো একস্ট্রা কিছু চাওয়ার নেই। আমার ব্যক্তিগত আক্রমণও নেই। আমার শুধু একটাই কথা যে, আমাকে আমার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হোক।" একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে দিল্লি যাওয়ার আগে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন কিনা, সেবিষয়ে এখনও কিছু ঠিক করেননি। পাশাপাশি, কাজ করতে সমস্যা নিয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জানানোর বিষয়ে তাঁর সংক্ষিপ্ত জবাব, "অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে কথা হয়নি।" 


আরও পড়ুন, শনিবার 'সিদ্ধান্ত' Satabdi-র, ফের কি ভাঙন TMC-তে?