Municipal Election 2022: বর পেলেও বউ পায়নি, চরমে স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ, ভোটে টিকিট না পাওয়ায় `ডিভোর্স`!
স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণ দমদম পুরসভায় (South Dumdum Municipality) ভোটে টিকিট না পাওয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ। সেই বিবাদ গড়াল 'বিবাহ বিচ্ছেদ' (Divorce) পর্যন্ত! ইতিমধ্যেই আলাদা থাকতে শুরু করেছেন স্বামী-স্ত্রী। স্বামী সুরজিৎ রায়চৌধুরী বিচ্ছেদের আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরীকে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার (South Dumdum Municipality) ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথমে দলীয় প্রার্থী (Municipal Election 2022) হিসেবে রীতা রায়চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেই নাম বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে পাশেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর স্বামী সুরজিৎ রায়চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় যে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার তালিকায় স্বামী সুরজিৎ রায়চৌধুরীর নাম থাকলেও, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরীর নাম বাদ গিয়েছে। সেখানে নতুন করে টুম্পা দাসের নাম তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদের শুরু। বিবাদ এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছে যে, তা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা পর্যন্ত গড়িয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই স্বামী সুরজিৎ রায়চৌধুরী উকিল মারফত স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরীকে বিবাহ বিচ্ছেদের (Divorce) নোটিস পাঠিয়েছেন। স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। সুরজিৎ রায়চৌধুরীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন রীতা রায়চৌধুরী। নির্দল হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে জোড়া পাতার প্রতীক নিয়ে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন। গোটা ৯ নম্বর ওয়ার্ড জোড়া পাতা প্রতীক, ব্যানার, হোর্ডিং ও দেওয়াল লিখনে ভরে গিয়েছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, তৃণমূলের কোনওরকম দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে পতাকাও পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এমনকি, নির্দল প্রার্থীর ব্যানারে আবার দেখা যাচ্ছে যে, "প্রচারে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল স্তরের কর্মীবৃন্দ" লেখা আছে।
এই বিষয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী স্বামী সুরজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, "দল প্রথমে টিকিট দেবে বলে ঘোষণা করেছিল। তারপর টিকিট বাতিল করেছে। তারপর থেকেই পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়েছে সংসারে। শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিই যে দল আমার কাছে আগে। সেই কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমার স্ত্রী রীতা রায়চৌধুরী আমাকে ছেড়ে বাপেরবাড়ি চলে গিয়েছে।" কিছুটা আক্ষেপের সুরে চোখ ছল ছল অবস্থায় তিনি আরও জানান, "১৯৯১-এর ২৪ জনুয়ারি প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। ৩১ বছরের বিবাহ জীবন। একটি কন্যাসন্তানও আছে। আমার ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ২০১৫ থেকে কাউন্সিলর। ৮ বছরের যুব সভাপতি। তারপরেও আমার এই পরিণতি।"
অন্যদিকে স্ত্রী তথা নির্দল প্রার্থী রীতা রায়চৌধুরী বলেন, "পারিবারিক বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করতে চাই না। যা বলার নির্বাচনের পরে বলব।" তবে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।