নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্ধ হচ্ছে ৩ নম্বর বাস। হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো কলকাতার আরও এক ঐতিহ্য। আর সেই সঙ্গে ভিড় করে আসছে একরাশ নস্টালজিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্রীরামপুর থেকে এক বাসে বাগবাজার। অফিস, কলেজ, স্কুল, এছাড়াও বিভিন্ন দরকারে মফঃস্বল থেকে উত্তর কলকাতায় নিত্য যাদের আসতে হত, ৩ নম্বর বাস ছিল তাদের কাছে বড় ভরসা। ৯০ বছরের যাত্রাপথ। সেই যাত্রাপথ এবার শেষের মুখে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৩ নম্বর বাস। যাত্রীর অভাবে থমকে যাচ্ছে ৩ নম্বর বাসের যাত্রা। কলকাতার সবচেয়ে পুরনো রুট এখন শুধুই স্মৃতি।


১৯২৮ সালে ৬৯টি বাস নিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। এখন এই রুটে বাসের সংখ্যা মাত্র চার। যাত্রী প্রায় নেই-ই। কেন এই অবস্থা? বাস চালকরা বলছেন, এর জন্য অটো আর টোটোর রমরমাই দায়ী। শুধু কি অটো? নাকি প্রাচীন এই রুট আর আজকের ব্যস্ত দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না? যাত্রী অভাবে ধুঁকতে থাকা ৩ নম্বর বাস বন্ধের পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ।


শ্রীরামপুর থেকে বাগবাজার আসতে ৩ নম্বর বাসের সময় লাগে দেড় থেকে দুঘণ্টা। পরিবর্তে ছোটো ছোটো রুটের বাস, অটো, টোটোর ব্রেক জার্নি যাত্রীদের অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। অটো বা টোটোয় বালিখাল পৌঁছে গেলেই হল। তারপর সেখান থেকে একাধিক রুটের একাধিক বাস। যা ৩ নম্বর বাসের অর্ধেক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে। এমনকি সেক্টর ফাইভ বা রাজারহাটে যেতেও ব্রেক জার্নিতে ৩ নম্বর বাসের প্রায় অর্ধেক সময় লাগে। ট্রেনে শ্রীরামপুর থেকে হাওড়া যেতে ৪০ মিনিট লাগে, সেখান থেকে বাসে কলকাতার যে কোনও জায়গায় যাওয়া অনেক সুবিধাজনক।


বাস সংগঠন কিন্তু বলছে, শুধু তিন নম্বরই নয়। পর্যাপ্ত ভাড়াবৃদ্ধি না হওয়ায় কলকাতার বেশ কয়েকটি রুট এখন বিলুপ্তির মুখে। কারণ যা-ই হোক। এই বাসরুট বন্ধ হওয়ার খবরে মন খারাপ নিত্যযাত্রীদের। স্টিল রং বদলে নীল-হলুদ বাস এলেও আর ভাগ্য ফেরেনি। মহানগরের প্রাচীনতম বাস রুট। আজ যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে অক্ষম। এখন শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা। যবনিকা পতন তিন-নম্বরের!