প্রসেনজিত্ মণ্ডল: বুধবার জোড়া ধাক্কা অনুব্রত-তনয়া সুকন্যা মণ্ডলের। গোরু পাচার মামলায় সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সেই চিঠি আজ ধরানো হল। কিন্তু কথা বলার মতো অবস্থায় নেই বলে তিনি সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন সুকন্যা। সেই কথা শুনে আজ ফিরে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অন্যদিকে, আজই কলকাতায় হাইকোর্টে নির্দেশ দিয়েছে বৃহস্পতিবার টেট পাস সার্টিফিকেট নিয়ে তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। কারণ অভিযোগ উঠেছে টেট না দিয়েই ঘরের পাশের স্কুলে চাকরি পেয়েছেন তিনি। এদিকে, বুধবার সন্ধে সাড়ে সাতটার পর তিনি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। তখন মনে করা হয়েছিল, হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার জন্যই তিনি সম্ভবত কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু ভুল ভাঙে কিছুক্ষণের মধ্য়েই। ওই গাড়িতেই ঘরে ফিরে আসেন তিনি। সূত্রের খবর, বোলপুর পেরিয়ে বর্ধমানের রাস্তায় ওঠার আগে তিনি ফিরে আসেন। গোটা ঘটনাটাই এখন রহস্যে ঢাকা। কোনও কোনও মহলের অনুমান আইনজীবীদের পরামর্শেই ঘরে ফিরে এসেছেন সুকন্যা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Anubrata Mondal Daughter: বাড়ি গিয়ে নোটিস সিবিআইয়ের, কথা বলার অবস্থায় নেই জানালেন 'বিপর্যস্ত' কেষ্ট-কন্যা


বুধবার একটি অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে টেট পরীক্ষা না দিয়েই প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত-তনয়া সুকন্যা মণ্ডল। ঘরের পাঁচশো মিটারের মধ্যে স্কুল হলেও কোনও দিন স্কুলে যাননি। ঘরে বসে মাইনে পেতেন। এমনকি স্কুলে হাজিরার খাতা তাঁর ঘরে আনা হতো। সেখানে সই করে প্রতি মাসে মাইনে তুলতেন অনুব্রত-কন্য়া। আরও অভিযোগ, শুধু মেয়ে সুকন্যা নন, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনের চাকরি হয় ওই একই সময়ে। যাঁদের মধ্যে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ছাড়া রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডল ও সাত্যকি মণ্ডল, তাঁর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। এদের সকলেরই তখন চাকরি হয় তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে। ওই মামলায় সুকন্যা মণ্ডল সহ ওই ৫ জনকেও তাঁদের টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র নিয়ে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৩টের মধ্যে এই ৬ জনকে আদালতে আসতে হবে। না আসলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত।


গোরুপাচার মামলায় বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর মধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের ১৭ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কী? কোটি কোটি টাকার আয়কর রিটার্ন হয়েছে কিনা? তা জানতে চায় সিবিআই। গোরুপাচার মামলায় সুকন্যাকে জেরা করতে চায় সিবিআই। এনিয়ে আজ তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে নোটিস দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কিন্চু সুকন্যা সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়ে দেন সদ্য মা-কে হারিয়েছি। বাবা সিবিআই হেফাজতে। এরকম অবস্থায় মানসিকভাবে আমি বিপর্যস্ত। কথা বলার মতো অবস্থায় আমি নেই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)