SSC Scam: এসএসসি গ্রুপ সি-র কয়েকশোজনের চাকরি বাতিল, তালিকায় তৃণমূল বিধায়কের মেয়ের নাম
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে শাসক দলের একের পর এক নেতার আত্মীদের দেখা যাচ্ছে বাতিলের তালিকায়। সেই তালিকায় রয়েছে শালবনির বিধায়ক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই মানিক মাহাতর নাম। এনিয়ে নিয়ে ফের শাসকদলের উপর আঙুল তুলছে বিরোধী শিবির
বরুণ সেনগুপ্ত: চাকরি না পেয়ে এখনও রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। ইতিমধ্যেই এসএসসির গ্রুপ ডি-র কয়েকশো কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি গতকাল গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি এও বলা হয়েছে, রায় বের হওয়ার সময় থেকেই আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না ওইসব চাকরি প্রার্থীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের মেয়ের নাম।
আরও পড়ুন-এসএসসি গ্রুপ সি-র চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের
মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের ময়ে বিনতা মণ্ডলের মেয়ের নাম রয়েছে ১৪১ নম্বরে। তিনি কাজ করতেন বেলঘড়িয়ার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কামারহাটি পুরসভার নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল। যেদিন তিনি কাজ য়োগ দিতে আসেন সেইদিন বিনতার বিধায়ক মাও এসেছিলেন স্কুলে।
বিনতার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, মেয়ে হিসেবে ও খুবই ভালো। সময় মত স্কুলে আসতো এবং ভালো ব্যবহার ছিল। কাজের প্রতি ও খুবই যত্নবান। যেসব গুণ থাকা প্রয়োজন তা ওর আছে। ও যেদিন স্কুলে যোগ দেয় সেইদিন বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডল এসেছিলেন। আদালতের রায় আমি খবরে দেখেছি। স্কুলে মেল-এ বা কোনও লিখিত নির্দেশিকা এখনও পাইনি। বৃহস্পতিবার স্কুলে আসেনি। শুক্রবার এসেছিল।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে শাসক দলের একের পর এক নেতার আত্মীদের দেখা যাচ্ছে বাতিলের তালিকায়। সেই তালিকায় রয়েছে শালবনির বিধায়ক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর ভাই মানিক মাহাতর নাম। এনিয়ে নিয়ে ফের শাসকদলের উপর আঙুল তুলছে বিরোধী শিবির। যে স্কুলে তিনি চাকরি করতেন সেই স্কুলের টিচার ইনচার্জ জানান, গতকাল থেকে তিনি স্কুলে আসেননি।
শ্রীকান্ত মাহাতো ফোনে জানান, যদি কেউ দোষ করে তাহলে তার শাস্তি হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কোনও বেআইনি কার্জকর্ম হওয়া উচিত নয়। কোনও জায়গায় কোনেও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা উচিত। তিনি যত প্রভাবশালীই হোক না কেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফুলচাঁদ সরেন বলেন, এরকম কোনও খবর আমার কাছে নেই। কে কীভাবে চাকরি পেয়েছেন তা বলার এক্তিয়ার আমার নেই। উনি এখানে ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিল। উনি যে সময় এই স্কুলে জয়েন করেছিলেন সেই সময় যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি সবকিছু বলতে পারবেন।