বিমল বসু: নিয়োগ ডামাডোলে চাকরি টেট পাস করেও রাজ্যে বহু পরীক্ষার্থীর ভাগ্যে নিয়োগপত্র জোটেনি। এনিয়ে মামলা চলছে আদালতে। এর মধ্য়েই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল এক পরীক্ষার্থীর। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাডুড়িয়ায় চাতরা গ্রামে। টেট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ওই পরীক্ষার্থীর নাম রাজু গাজি। ২০১৭ সালের প্রাইমারি টেট নেওয়া হয় ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি।  অনেক আন্দোলনের পর ফল প্রকাশ হয় এবছর ১০ জানুয়ারি। ফলাফলে পাস করেন ৯৮৯৬ জন। দেখা যায় অকৃতকার্য হয়েছেন রাজু। আরটিআই করে রাজু দেখেন ওবিসি ক্যাটিগরিতে তার স্কোর ৮২। অর্থাত্ সি টেট অনুয়ায়ী পাস। কিন্তু রাজ্য সরকারের নিয়মে স্কোর চাই ৮২.৫। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-গঙ্গায় ভাসছে দেহ! বেলুড়ে তরুণ চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু 


এদিকে রাজু গাজি একটি মামলা করেন হাইকোর্টে। সেখানে তিনি দাবি করেন, ২০১৭ সালের পরীক্ষায় ১৫০ নম্বরের প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের পরীক্ষাতেও ভুল প্রশ্নের জন্য আদালতের নির্দেশে অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন। 


দীর্ঘদিন আদালতের টালবাহানার ফলে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন রাজু। এমনটাই দাবি পরিবারের। গতকাল ঠাকুরনগর ও চাঁদপাড়া স্টেশনের মাঝে রেললাইনে ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে রাজুর।


রাজুর মৃত্যু প্রতিবাদে আজ উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ বাটার মোড়ে পথ অবরোধ করে ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই। শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় আধ ঘন্টার মত পথ অবরোধ করেন তারা। অবরোধকারীদের দাবি, রাজু গাজির মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী রাজ্য সরকার। অবরোধ থেকে রাজুর মৃত্যু প্রতিবাদে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


রাজুর এক বন্ধু সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করতাম। একসঙ্গে ডিএলএড করেছি। প্রাইমারি টেটে বসেছি। ২০১৭ সালের যে নোটিফিকেশন হয়েছিল তার পরীক্ষা হয়েছিল ২০২১ সালে। ওটাতেই বসেছিল রাজু। ওই পরীক্ষাতে রাজু ৮২ পেয়েছিল। ৮২.৫ পেলে পাস হওয়ার কথা। সি টেট এর দেখা গিয়েছে ৮২ পেলেও পাস করায়। একটু ডিপ্রেশনেই ছিল। খুব ভালো ছিল। প্রাইমারি টেটের রেজাল্ট দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছিল। মামলাও করেছিল। জানি না কীভাবে কী হল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)