নিজস্ব প্রতিবেদন:  আলিপুরদুয়ারের বিতর্কিত জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে সরিয়ে দিতে চায় রাজ্য। অনুমতি চেয়ে দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য। এখন ভোটার তালিকা সংশোধন চলছে। তাই সব জেলাশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেই কারণে জেলাশাসক বদলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন। সেই অনুমোদন চেয়েই চিঠি দিল রাজ্য।  শোনা যাচ্ছে, আলিপুরদুয়ারের নতুন জেলাশাসক হতে পারেন শুভাঞ্জন দাস।   অন্যদিকে, নিখিল নির্মল ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণাণের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ পুলিস। স্বতোঃপ্রণোদিত  মামলা রুজু করেছেন ফালাকাটা থানার আইসি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ওরা যত খুশি রথ টানুক, আমাদের সঙ্গে মানুষ রয়েছে: সুব্রত


প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ফালাকাটা থানায় ঢুকে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন  আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল ও তাঁর  স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণাণ। ওই যুবক একটি ফেসবুক গ্রুপে জেলাশাসকের স্ত্রীকে যোগ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলেছিল বলে অভিযোগ।  ফালাকাটা থানার আইসির উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে সর্বত্র। প্রশ্ন ওঠে, আইনের একজন রক্ষক হয়ে কীভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন জেলাশাসক? আইসির সামনে কীভাবে এই ঘটনা ঘটে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


আরও পড়ুন: ‘সরিয়ে দেওয়ার হলে সরিয়ে দিন’, স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে ফের ফেসবুকে পোস্ট আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের স্ত্রীর


জেলাশাসক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়ে  সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য।  ইতিমধ্যেই নিখিল নির্মলকে ১০ দিনের ছুটিতে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।  নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় প্রশাসনিক স্তরে তদন্ত হবে। সেই তদন্তের রিপোর্ট দেখে স্থির করা হবে, নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে কিনা।


সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশের সেরা ১০ আমলার মধ্যে নাম ছিল নিখিল নির্মলের। আইএএস অ্যাসোসিয়েশনের সেই খবরটি টুইটও করেছিল। সম্প্রতি সেই ঘটনার পর সেই টুইটও সরিয়ে দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: ফেসবুকে স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, থানায় ডেকে যুবককে বেধড়ক মার জেলাশাসকের


কেরলের কোচির বাসিন্দা নিখিল নির্মল। ২০০৯ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৩৭২ তম স্থান অধিকার করেছিলেন ৩২ বছরের নিখিল নির্মল। তার আগে পাবলিক পলিসিতে স্নাতকোত্তর করেছিলেন তিনি। রয়েছে আইনের স্নাতক ডিগ্রিও। গত বছরই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের দায়িত্ব পান তিনি। তার আগে অবিভক্ত আলিপুরদুয়ার, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক পদ সামলেছেন। সামলেছেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসকের দায়িত্বও।


এত পদ সামলেও কীভাবে তিনি আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন? গোটা ঘটনাটি যে সেদিন ফালাকাটা থানার ভিতরেই ভিডিও হচ্ছিল, তাও অজানা ছিল না নিখিল নির্মলের। তবে কেন সতর্ক হলেন না তিনি?   আলিপুরদুয়ারের অনেকেই মনে করছেন, আসলে নিজের ‘সিঙ্ঘম’  মূর্তিই সকলের কাছে দেখাতে চেয়েছিলেন তিনি, দিতে চেয়েছিলেন অন্য কোনও বার্তাও, কিন্তু তা করতে গিয়েই বেকায়দায় পড়ে যান তিনি।