নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত মামলার নিস্পত্তি হল না বুধবারও। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিনও রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। পাশাপাশি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মনোনয়নের দিন বাড়িয়ে কমিশন যে কোনও ভুল করেনি সে কথাও আজ স্পষ্ট ভাষায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি তালুকদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত মামলায় এদিন প্রথমার্ধ জুড়ে সওয়াল করেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুই দিন ধরে ডিভিশন ও সিঙ্গল বেঞ্চে কল্যাণ বারবার বলেছেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ওয়ার পর তাতে হস্তক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতাই নেই আদালতের। তাঁর আরও দাবি, হঠাত্ করে মনোনয়নের দিন বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইন বিরুদ্ধ কাজ করেছিল কমিশন এবং সে জন্যই পরদিন কমিশন তা প্রত্যাহার করে। এদিন কল্যাণকে বিচারপতি তালুকদার স্পষ্ট জানান, রাজ্য পঞ্চায়েত আইনের ৪৬(২) ধারা অনুযায়ী কমিশন চাইলে এমন সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এক্ষেত্রে 'চাইলে' শব্দটির উপর বিশেষভাবে জোর দেন বিচারপতি। আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টকে সংবিধান উপেক্ষা করতে বলেনি : কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়


অন্যদিকে, শুনানির দ্বিতীয়ার্ধে সওয়াল করতে উঠে সিপিআই(এম)-এর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য কল্যাণের দাবি খারিজ করে দেন। এদিন আদালত কক্ষে বিকাশবাবু দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের এমন রায় আছে, যেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কমিশন ব্যর্থ হলে, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করতেই পারে বলে সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য। পাশাপাশি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের 'দালাল' হিসাবে কাজ করছে বলেও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন বিকাশবাবু। এদিন আদালতক্ষের অন্দরে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বরখাস্ত করার দাবি জানান তিনি। আরও পড়ুন- সিঙ্গল বেঞ্চে পঞ্চায়েত মামলার ৫ গুরুত্বপূর্ণ দিক