দেবব্রত ঘোষ: মাঝরাতে তীব্র বিস্ফোরণে কাঁপল উলুবেড়িয়া। ভাঙল পরপর ৪টি বাড়ির দরজা ও জানালা। বাজি বিস্ফোরণ ও আগুনে ঝলসে ৩ শিশুর মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরণ হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে, উলুবেড়িয়ার তাঁতিবেরিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে। শনিবার মধ্যরাতে শ্যামল মোন্ডল নামক ব্যক্তির বাড়ির নিচের তলায় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ব্লাস্টের তীব্রতার জেরে দোতলার সমস্ত কাঁচ সহ আশেপাশের বেশকিছু বাড়ির জানলা দরজা ও ভেঙে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Murshidabad: তৃণমূল কার্যালয়ে লালু প্রসাদের অনুগামীদের সঙ্গে সংঘর্ষ সোনু চৌধুরী গোষ্ঠীর, চলল গুলি


ফাটল ধরে যায় দেওয়ালের একটা অংশ। পাশের লাগোয়া দুটি বাড়ির জানলার কাঁচ ভাঙে। খবর পেয়ে ভোররাতে পৌঁছায় উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শ্যামল মন্ডলকে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিজেদের বাড়ির পাশেই  শ্যামল এবং তাঁর তিন ভাই নতুন দোতলা বাড়ি করেছেন। সেখানেই গতরাতে দোতলায় ঘুমোচ্ছিলেন বাবা-মা ও তার বোন। দাদা অমলেন্দু মন্ডল জানান, "ভাই কম্পিউটারের 'ইউপিএস' মেরামতির কাজ করেন। বাড়িতে প্রচুর ব্যাটারি সহ আরও অন্যান্য দাহ্য পদার্থ মজুত ছিলো। যেগুলো রাখা ছিলো দোতলায় বাথরুমের ওপরের ফাঁকা জায়গায়। সেখানেই বিস্ফোরন ঘটে।" 


তবে বাজি রাখা ছিলো কিনা তার এখনও খোঁজ মেলেনি। তিনি আরো বলেন, "বিস্ফোরক কিংবা বাজি থাকলে ঘরে আগুন ধরে যেতো। বাবা মা জখম হতো। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি।" এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রচুর বাজি মজুত ছিলো ঘরে। সেখান থেকেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুর এলাকায় বাজি ফেটে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল তিন শিশুর। বাজি পোড়ানোর সময় একটি চরকির ফুলকি থেকে আগুন লেগে যায় বাড়িতে। তারফলে তিনজনের মৃত্যু হয়। তাই পুলিস বাজি মজুতের মতন বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করছে পুলিস।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)