নিজস্ব প্রতিবেদন : হুগলীর কোন্নগর নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজে এমএ ছাত্রীদের সঙ্গে ডিগ্রী কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূল জিন্দাবাদ, মমতা ব্যানার্জী জিন্দাবাদ স্লোগান না দেওয়ায় ছাত্রীদের মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কলেজের ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে। এমনকী কলেজের শিক্ষক ডঃ সুব্রত চ্যাটার্জীকে বেধরক মারধর করা হয় বলেও টিএমসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে টিএমসিপির পক্ষ থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ডেকে নিয়ে গিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ, শিক্ষকের বেধড়ক মারে অসুস্থ ছাত্র



হীরালাল পাল কলেজের এমএ ফাইনাল পরীক্ষায় শেষ হয়েছে বুধবার। এদিন ছাত্রীরা বেঞ্চে উঠে সেলফি তুলছিলেন। এর পরই টিএমসিপি সমর্থকরা ছাত্রীদের বেঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলে। এই নিয়ে বচসা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এমএ ছাত্রীদের অভিযোগ জুনিয়র ছাত্রীরা তাদের তুইতোকারি করে। ঘটনার জন্য কলেজ অধ্যাপকদের মধ্যস্ততায় দুই পক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। তখনকার মতো সব কিছু মিটে যায়। এর পরই টিএমসিপি সমর্থকরা ছাত্রীদের তৃনমূল জিন্দাবাদ বলতে বলে। এমএ ছাত্রীরা তা বলতে অস্বীকার করে। এর পর এক ছাত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কলেজ গেটে তালা মেরে এমএ ছাত্রীদের আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। 


বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সুব্রত চ্যাটার্জী ছাত্রীদের নিয়ে কলেজ থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কলেজ গেটের সামনে তাঁকে বেধরক মারধর করা হয়। ছাত্রদের কিল ঘুঁষি আছড়ে পড়তে থাকে তাঁর উপর। একটা সময় পর মাটিতে বসে পরেন অধ্যাপক। টিএমসিপির বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ করেছেন অধ্যাপক সুব্রত চ্যাটার্জী। টিএমসিপি অভিযোগ অস্বীকার করে দাবী করে, এবিভিপি কলেজে ইউনিট খুলতে চাইছে। ছাত্রীদের নিজেদের মধ্যে একটা বচসা হয়। সুব্রত স্যার এমএ ছাত্রীদের পক্ষ নেন। টিএমসিপির ছাত্রীদেরও মারধর করা হয়েছে। যার ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ছাত্ররা সুব্রত স্যরকে ধাক্কা মেরে বসে। তবে তাঁকে কেউ মারধর করেননি বলে জানিয়েছে ছাত্র পরিষদ।