নিজস্ব প্রতিবেদন : টিএমসিপির গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুরুতর আহত ছাত্রের মৃত্যু হল কোচবিহারের দিনহাটাহায়। আর ছাত্র মৃত্যুর পরই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটা। হাসপাতাল চত্বরেই বনধে সামিল হল ছাত্ররা। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় টিএমটিপি নেতা সাবির সাহা চৌধুরী ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর জয় ঘোষকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক বদলিতে নিষেধাজ্ঞা শিক্ষা দফতরের


দীর্ঘদিন ধরেই দিনহাটা কলেজে ক্ষমতার দখল নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, কলেজে ক্ষমতাবান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সাবির সাহা চৌধুরীর বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সামান্য বচসা হয়। অভিযোগ, এরপরই কলেজে ঢুকে নিতাই দাস ও তাঁর এক বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে  সাবির সাহাচৌধুরী ও তৃণমূল কাউন্সিলর জয় ঘোষের লোকজন। মারের চোটে গুরুতর আহত হন নিতাই দাস।


আরও পড়ুন, শোভনের ডানা ছাঁটলেন মমতা, খোয়ালেন জেলা সভাপতির পদ


আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই দুদিন ভেন্টিলেশনে ছিলেন নিতাই দাস। শেষপর্যন্ত শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এরপরই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে দিনহাটা জুড়ে বনধের ডাক দেন তাঁরা। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।


আরও পড়ুন, হারিয়ে গেছে ফাইল! ডিএ মামলার ফয়সলা ঝুলে রইল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত


গোষ্ঠী সংঘর্ষ ও ছাত্র মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে সাবির সাহা চৌধুরী বা জয় ঘোষকে কাউকেই এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিস। ছেলের মৃত্যুতে দিশেহারা অবস্থা নিতাই দাসের বাবা, মায়ের। শোকস্তব্ধ গোটা দিনহাটা।