টিউশন পড়তে যাওয়ার আধঘণ্টা পরই গৃহশিক্ষিকার ফোন বাবাকে, ছাত্রের `অস্বাভাবিক` মৃত্যু
টিউশন ক্লাসে ছিল ২ জন ছাত্রী ও ২ জন ছাত্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যাওয়ার পরই 'অস্বাভাবিক' মৃত্যু হল দশম শ্রেণির ছাত্রের। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। ছেলের মৃত্যুর জন্য গৃহশিক্ষিকা পারমিতা সামুই ও ৩ সহপাঠীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃতের বাবা।
জামালপুরের মাহিন্দর গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্র। ওই গ্রামেরই ব্যবসায়ী তরুণ কোলের বাড়িতে টিউশন পড়ান পারমিতা সামুই। তরুণ কোলের মেয়ে সহ মোট ৪ জন পারমিতা সামুইয়ের কাছে ভুগোল পড়ত। টিউশন ক্লাসে ছিল ২ জন ছাত্রী ও ২ জন ছাত্র। মৃত ছাত্র এদেরই সহপাঠী।
মৃতের বাবা জানিয়েছেন, অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও তিনি ছেলেকে তরুণ কোলের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। এর আধঘণ্টা পরই পারমিতা সামুই তাঁকে ফোন করেন। ফোনে পারমিতা সামুই তাঁকে বলেন, তাঁর ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফোন পেয়েই তরুণ কোলের বাড়িতে ছুটে যান ওই ছাত্রের বাবা।
আরও পড়ুন, মহিলার নগ্ন শরীর থেকে বেরচ্ছে ধোঁয়া, চুঁচুড়ায় নিত্যযাত্রীদের চোখের সামনে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা
তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলের গা-হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। এই 'অস্বাভাবিক' মৃত্যুর ঘটনায় গৃহশিক্ষিকা পারমিতা সামুই ও ৩ সহপাঠীর বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রের বাবা।
যদিও ওই গৃহশিক্ষিকার দাবি, সহপাঠীর সঙ্গে মারামারির জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। জলের বোতল নিয়ে ছোড়াছুড়ি করছিল তারা। সেইসময়ই তার বুকে আঘাত লাগে।