নিজস্ব প্রতিবেদন:  হয়ত বেঁচে আছে। এটা মনে হতেই, সত্‍কারের জন্য আনা দেহ শ্মশান থেকে গেল হাসপাতালে। তারপর? সরকারি হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট থাকা সত্বেও ফের ময়না তদন্ত করলেন সরকারি চিকিত্‍সকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: শোকেস থেকে জিনিস বার করতে গিয়ে পায়ে লেগেছিল শুড়শুড়ি, উঁকি দিতেই শুকিয়ে গেল গলা


এগারো মাস আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল অভিজিত্‍ সরকার। তখন কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিল নদিয়ার তেহট্টের বেতাই বেলেচুয়াগ্রামের দশম শ্রেণির ওই ছাত্র। কয়েকদিন আগে ফের অসুস্থ হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় রেফার করেন চিকিত্‍সকরা। শুক্রবার সকালে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় অভিজিতের। সরকারি প্রক্রিয়া মিটিয়ে, সন্ধে নাগাদ দেহ পৌছয় তেহট্টের বাড়িতে। রাতে নবদ্বীপ শ্মশানে সত্‍কারের জন্য দেহ নিয়ে যেতেই বিপত্তি। হঠাতই কয়েকজনের মনে হয়, দেহে প্রাণ আছে। ব্যাস। সঙ্গে সঙ্গে দেহ নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। দেহ পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করলেও, ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন ডাক্তাররা।


ছোট্ট অভিজিতের অকালে ঝরে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি পরিবার। তাই  দেহে প্রাণ আছে ধরে নিয়ে, ফের ডাক্তারদের দ্বারস্থ হন তাঁরা।  কিন্তু ফিরল না প্রাণ। শেষে  চলল কাটাছেঁড়া। মরেও শান্তি পেল না অভিজিত্‍।