Raigung: লকডাউনে পড়াশোনা শিকেয়; কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে পড়ুয়ারা, উপস্থিতির হার কমল স্কুলে
বেশিরভাগই এখন পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ কিংবা দিল্লিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। অবশেষে স্কুল খুলল। কিন্তু প্রথম দিন পড়ুয়ার উপস্থিতির হার কম কেন? উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raigung) প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে চলে গিয়েছে অনেকেই! তারা কি আর স্কুলে ফিরবে? প্রশ্ন উঠেছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকে প্রত্যন্ত গ্রাম বিরাহাম খণ্ড। করোনা আতঙ্কে তখন পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। কেউ নবম শ্রেণিতে পড়ত, তো কেউ আবার দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয় অনেকেই। কেন? গ্রামবাসীদের দাবি, লকডাউনের সময়ে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। রোজগারের একেবারেই তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। বাড়ি বসে আর সময় নষ্ট করতে চায়নি স্কুল পড়ুয়ারা। শ্রমিকের কাজ করতে চলে গিয়েছে পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ কিংবা দিল্লিতে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: স্কুল খোলায় পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাসের মাঝেই এ এক 'উলটপুরাণ'
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো এদিন থেকে খুলল স্কুল। ফের ক্লাসরুমে শুরু হল পঠনপাঠন। ভিনরাজ্য়ে বসে সেখবর পেয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু কর্মস্থল থেকে ছুটি না পেলে আসবে কি করে? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের। কোনও কোনও অভিভাবক আবার বলছেন, 'আমরা খবর দেব যে, স্কুল খুলেছে। ছেলে যদি ফিরে আসতে চায়, তাহলে আসবে'! রায়গঞ্জের মহারাজা জগদীশ নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তামিন সোরেন। তিনি জানিয়েছেন, 'স্কুলে খোলার পর দেখলাম পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেক কম। অ্যাক্টিটিভিটি টেস্টের সময় প্রথম জানতে পারি, অনেকেই ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে চলে গিয়েছে। আমার ওদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি'।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)