ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গলমহলে অলচিকি ভাষার প্রসার। আদিবাসী সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার  কথা  বলে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই জঙ্গলমহলেই অলচিকি ভাষায়  উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে  পঞ্চান্ন জনের মধ্যে প্রথম বিভাগে পাশ করেছেন চুয়াল্লিশ জন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার প্রথম বিভাগে পাশ করেছে বিয়াল্লিশ শতাংশ পরীক্ষার্থী। আর প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়ে পঞ্চান্ন জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে চুয়াল্লিশ জন প্রথম বিভাগে পাশ করেছে।


ঘরে অভাব। তাহলে স্কুলে যাক। ওখানেতো অন্তত খেয়ে পরে বাঁচবে। এই খেয়ে পরে বাঁচতে এসেই মিরাক্যাল করে দিচ্ছে জঙ্গলমহলের অতি গরীব আদিবাসী সন্তানেরা।


উদয় মুর্মু অলচিকি ভাষায় পরীক্ষা দিয়েছেন। আশি শতাংশের ওপর নম্বর পেয়েছেন। অথচ ওর যা এখন বয়েস সেই বয়েসের আদিবাসী কিশোরদের আমরা হামেশাই দেখি মাটি কাটতে, কুলি খাটতে। উদয়ের বাবা-মাও সেই সকাল বেলায় বেরিয়ে যায় দিনমজুরের কাজ করতে। সেই উদয় স্বপ্ন দেখছে নতুন পৃথিবীর।


শুধু উদয় নয়, মুজিবর নয়, এমনি শত শত পড়ুয়া একলব্য বিদ্যালয় থেকে নতুন পথের দিশা পাচ্ছে। দিশা দেখাচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন রামকৃষ্ণ মিশনকে। প্রথম যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু সব বিতর্ক সরিয়ে একলব্য এখন অর্জুনদের বিদ্যাপিঠগুলিকেও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।


আর পাঁচটা স্কুলে যেসব বিষয় পড়ানো হয় এখানেও পড়ানো হয়। কিন্তু যাতে শিকড়ের সঙ্গে সম্পর্কটা নষ্ট না হয়ে যায়, তার জন্য থাকে কড়া নজর । এখানে এটাই বৈশিষ্ট্য, এটাই চ্যালেঞ্জ। (আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের জনসেবার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতির আঙিনায় আসার ডাক মমতার)