ওয়েব ডেস্ক: টিভি দেখা নিয়ে বচসার পর এবার হেডফোন নিয়ে ভাইবোনের ঝগড়া। আর তার জেরেই আত্মঘাতী কলেজ পড়ুয়ার দিদি। বারুইপুরের বৈদ্যপুরের ঘটনা। কিন্তু সম্পর্কের কোন টানা পোড়েন এক কিশোরীকে ঠেলে দিল চরম পরিণতির দিকে। ভাবাচ্ছে মনোবিদ, সমাজতত্ববিদদের। জলপাইগুড়ির জামিনার রাস্তাতেই বারুইপুরের অপর্ণা রায়। ছোট ভাইয়ের সঙ্গে টিভি দেখা নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল ক্লাস নাইনের জামিনার। বাবা-মা এনিয়ে তাকে বকাবকিও করেছিলেন। তারপরেই অভিমানে আত্মঘাতী হয় জামিনা।একই কাণ্ড ঘটল জলপাইগুড়ি থেকে অনেক দূরে বারুইপুরে। বারুইপুরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যপাড়া। সেখানেরই এক চিতলে ঘরে সংসার। বাবা বাবলু রায় মাংস দোকানের কর্মী। মা সুচিত্রা পরিচারিকার কাজ করেন। ছেলে সৌমিত্র একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।  মেয়ে অপর্না প্রথম বর্ষের ছাত্রী।  অপর্ণা ভাইয়ের  হেডফোন ব্যবহার করে। আর এ নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। জানাগেছে তারপরেই আত্মঘাতী  হন অপর্না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সোমবারও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর


ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। শুধুই তুচ্ছ ঝড়গার জেরে  আত্মঘাতী জামিনা বা অপর্ণা? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় কোনও কারণ?ভাইবোনে সাধারণ তুচ্ছ ঝগড়াতেই জীবন শেষের সিদ্ধান্ত। এমনটা মানছেন না মনোবিদরা। এর পিছনে থাকতে পারে মনের মধ্যে জমে থাকা রাগ, দুঃখ আর অশান্তি। কিন্তু শান্ত মেয়েটা যে হঠাত্ এমন করে ফেলতে পারে বিশ্বাস করছেন না কেউই... শোকে থমথম করছে বারুইপুর বৈদ্যপাড়া।


আরও পড়ুন  কাটোয়ায় মহুয়া খুনে, স্বামী উজ্জ্বলভাস্করকে পুলিস হেফাজত ও শাশুড়িকে জেল হেফাজতের নির্দেশ