জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুকান্ত মজুমদারের মুখে এবার যোগীর সুর। এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীদের ধমকানো চমকানো শুরু হয়েছে। আপনাদের বলতে চাই ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। আর বিজেপিতে আসার চেষ্টা করবেন অনেকে। কিন্তু তা করেও রেহাই পাবেন না। প্রয়োজনে উত্তরপ্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে। প্রয়োজনে এনকাউন্টার হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া! আর এসবের জেরে কমতে পারে তাপমাত্রাও...


ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার? রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসা বসিরহাটে শুরু হয়ে গিয়েছে। নদিয়াতে শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতা অর্থাত্ কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে আমাদের কর্মীদের মাথা ফাটানো, ধমকানো, চমকানো শুরু হয়ে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে তাদের সময় আসন্ন। আমি কিন্তু স্পষ্ট এইসব গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। আর বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনও নেতাকে ধরে দলে আসলেও রেহাই নেই। উত্তরপ্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে, পুরো এনকাউন্টার হবে।


উল্লেখ্য, শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় খুন হলেন এক বিজেপিকর্মী। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম হাফিজুল শেখ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে তাঁকে খুন করার পরে নৃশংসভাবে হাফিজুলের মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকার সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহে ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বলেই মত প্রত্যক্ষদর্শীদের। আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।


গতকাল সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরেও গন্ডগোল হয়েছিল। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী গ্রেফতার হন। বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহতও হন। এলাকার মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর পুলিস। সন্দেশখালি থানায় ইতিমধ্যেই একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকেরা এসেছেন, সেখানে বৈঠক করছেন। রাজবাড়ি আউটপোস্ট থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিস মোতায়ন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজবাড়ি আউটপোস্ট থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিস যাচ্ছেও। আজ সকাল থেকে ৪ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।


সুকান্তর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, হিংসার বিরুদ্ধেই তো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভোট দিয়েছে। সারা ভারতের মানুষ ভোট দিয়েছে এরমধ্যে। এরা আইনের শাসন মানে না। বিজেপি নেতা বলছেন এনকাউন্টা করে মানুষ খুন করা হবে। আইনের শাসন নয়, গুলি করে মেরে দেব, সন্ত্রাসবাদীদের মতো কাজ করব। এটা বলতে লজ্জা হচ্ছে না সুকান্ত মজুমদারের? যে দল দেশ শাসন করছে তার এক রাজ্য সভাপতি বলেছে এনকাউন্টার করে মেরে দেব! এই অশান্তির রাজনীতি করলে অশান্ত হবে পশ্চিমবঙ্গ। কোনও গণতান্ত্রিক দলের নেতা এটা বলতে পারবে। এরা বন্দুকের রাজনীতি করতে চাইছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)