নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোর মুখে জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার সাইলি চা-বাগানে সাসপেনসন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলাল কর্তৃপক্ষ। যার জেরে পুজোর মুখে কর্মহীন হয়ে পড়লেন সাইলি চা-বাগানের প্রায় ১৫০০ শ্রমিক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, বোনাস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চা-শ্রমিকদের সঙ্গে বাগান কর্তৃপক্ষের ঝামেলা চলছিল। সব চা বাগানে যেখন ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়া হচ্ছে, তখন সাইলি চা বাগানে সাড়ে ১৫ শতাংশ বোনাস দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। এই সাড়ে ১৫ শতাংশ বোনাস নিতে অস্বীকার করেন বাগানের চা-শ্রমিকরা। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে কিছুদিন আগেই সাইলি চা-বাগানের শ্রমিকরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভও দেখান। 


এরপরই আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে বাগানের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলতে দেখেন চা-শ্রমিকরা। সাইলি চা-বাগানের শ্রমিক স্বপ্না প্রধান, বিজেয়া কেরকাট্টা, সরস্বতী ইন্দোয়ার, সঙ্গীতা প্রধান বলেন, "সোমবার দিন যখন আমরা কাজে আসি, তখন দেখি বাগানের গেটে সাসপেনসন  অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলছে। আর কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছে।" এই নোটিস দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। ফ্যাক্টরির গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালবাজার থানার পুলিস। 


সাইলি চা-বাগানের শ্রমিক মকদালি টোপ্পো, শান্তা কুজুররা বলেন, "বাগান কর্তৃপক্ষ যতই চক্রান্ত করুক না কেন, আমাদের ২০ শতাংশ বোনাস লাগবে এবং অবিলম্বে চা-বাগান খুলতে হবে। তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হব আমরা। এইভাবে শ্রমিকদের ঠকিয়ে চা-বাগান চলতে পারে না। এব্যাপারে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী বিধানসভা ভোটও আমরা বয়কট করব। কোনওরকম সুবিধা বাগান শ্রমিকরা পায় না। পায় না শ্রমিকেরা ন্যায্য পাওনাও। তারউপর আবার বোনাসও কম দিচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, ২০ শতাংশ বোনাস-ই লাগবে আমাদের। আর পুজোর আগেই বাগান খুলতে হবে।"


আরও পড়ুন, পুজোর আকাশে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যজুড়ে