আত্মহত্যা নাকি খুন? শিলিগুড়ি পুরকর্মীর মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য
সহকর্মীদের দাবি, পুরসভার আস্থাভাজন ছিলেন সুশীলবাবু। বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন তিনি। সহকর্মীদের অনুমান, কোনও কারণে আত্মহত্যাই করেছেন ওই ব্যক্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীতে। এদিন দুপুরে হঠাৎই নিজের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সুশীল চন্দ্র দাস নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারের। দেহ উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে তাঁকে দেখতে উপস্থিত হন, গৌতম দেব, মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, পুর কমিশনার সোনাম ওয়াংদি ভুটিয়া, পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারসহ দলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা। যদিও এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মেনে নিতে নারাজ প্রত্যেকেই। সহকর্মীদের দাবি, পুরসভার আস্থাভাজন ছিলেন সুশীলবাবু। বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন তিনি। সহকর্মীদের অনুমান, কোনও কারণে আত্মহত্যাই করেছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: চিটফান্ড তদন্তের অগ্রগতিতে জোর, দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে সিবিআই কর্তারা
তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মৃতের পরিবার। সূত্রের খবর হায়দার পাড়াতে সুশীলবাবুর পৈত্রিক বাড়ি থাকলেও, বিগত কয়েক মাস ধরে সুভাষপল্লীর নতুন বাড়িতেই থাকতেন তিনি। ভুগছিলেন মানসিক অবসাদেও। যদিও এ বিষয়ে কারও সঙ্গেই আলোচনা করতেন না তিনি। সব মিলিয়ে সুশীল চন্দ্র দাসের মৃত্যুতে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। হঠাৎ কীভাবে ছাদ থেকে পড়ে গেলেন সুশীলবাবু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ তার তদন্তে নেমেছে পুলিস।