জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিনখাঁ থেকে গ্রেফতার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহান। তাকে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয়েছে। আগামী ১০ দিন পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শাহজাহানের গ্রেফতারিতে প্রায় উত্সবের মেজাজ সন্দেশখালিতে। সেখানে মানুষজন উল্লাসে মেতেছেন। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। আর এদিনই সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি মুখও খুললেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শাহজাহানের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে আইনি বাধা ছিল, ইডির তো তা ছিল না: এডিজি সুপ্রতিম সরকার


বিরোধী দলনেতা বলেন, ওদের যে পুলিসের টিম তাতে আমার লোক ছিল। তারা আমাকে সকালেই বলে দিয়েছে। ওদের ফলতায় নিয়ে গিয়েছিল। পুলিস আধিকারিক ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের গাড়িতে। আমি তা বলে দেওয়ার আগে ওকে আবার মিনাখাঁতে এনে রাখা হয়েছিল। তার আগে আকুঞ্জিপাড়াতে ওর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করিয়েছে। ও ওর বাড়ির লোকজনবকে বলেছে, এখন চুপ থাকো। আইনের উপরে ভরসা রাখো। ফিরে এসে সব ঠিক করে দেব। একেবারে আখোঁ দেখা হাল বলে দিতে পারি। গতকাল যা বলেছি তা মিলে গিয়েছে। আগামী দিনেও বলে দেব।


শুভেন্দু আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেউ নেই। এটা প্রতি মূহুর্তের খবর। গতবারে  সন্দেশখালিতে একজন সম্মানীয় পুলিস অফিসার ছিলেন। আরও ২ জন পুলিস অফিসারকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুনে রাখুন, আমাকে যখন পুলিস আটকাবে তখন আমি কথা বলব না। আমার সাথী শঙ্কর ঘোষ কথা বলবেন। আপনার পুলিসই আমাকে সব খবর দিয়ে দেয়। শাহজাহানকে যে ধরা হয়েছে তা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। উনি ফাইভস্টার হোটেল থাকবেন। মোবাইল ফোনে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করবেন। ওঁর কোনও অসুবিধা হবে না। তাই আমাদের দাবি, ওকে ইডি হেফাজেত চাই। সিবিআই এই মামলা নিক। উনি এবং ওঁর লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। পিড়ীত মানুষজন চাইছেন জাস্টিস। ইডি মার খাওয়ার পরে পুলিসে কেস করেছে। এই সুপ্রতিম সরকারের সব কথা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। সিঙ্গুরে উনি কী করেছেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলে যেতে পারেন। আমি ভুলিনি। এই সুপ্রতিম সরকার বলছে শিবু হাজরাকে ধরা যেতে পারে শাহজাহানকে ধরা যেতে পারে না। নাটক হচ্ছে, বাংলার কেউ পড়শোনা করেনি! বিকাশ সিংকে ধরতে গেলে তো সময় লাগে না।


উল্লেখ্য, পুলিসের দাবি মতো আজ মিনাখাঁর বামুনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। ওই কথা বলার পাশাপাশি এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রিতম সরকার বলেন, সন্দেশখালি ঘটনার পর পুলিস তদন্ত শুরু করে। তার পরেই আদালতে চলে যায় ইডি। তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ফলে সেখ শাহজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে একটা আইনি বাধা ছিল।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)