নিজস্ব প্রতিবেদন- কোথাও 'দাদার ভাই' নামে, আবার কোথাও 'দাদার অনুগামী' নামে পোষ্টার। সেইসব পোস্টার ঘিরে গত কয়েকদিনে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে জেলায় জেলায়। আবার জেলা থেকে শহরের নানা জায়গাতেও শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পড়েছে এই সব পোষ্টার। আছড়ে পড়েছে একের পর এক বিতর্ক। কিন্তু সেইসব পোষ্টার, ব্যানারে উল্লেখ করা ভাই বা অনুগামীরা শেষ পর্যন্ত কি শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে থাকবেন? মুর্শিদাবাদ আর মালদার ঘটনা কিন্তু এবার সেই প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক সম্মেলন করে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার ব্যাপারে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। রবিবার সভাধিপতি নওদায় তাঁর নিজের বাড়িতে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের কার্যত বোঝাতে চেষ্টা করেন, তৃণমূল কংগ্রেসই তাঁর ভবিষ্যত্। তিনি জোড়া ফুলের সঙ্গেই আছেন এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়েই সমস্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর তাঁর উদ্যোগেই খড়গ্রামে অরাজনৈতিক মঞ্চের ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারী সভা করেছিলেন। তার পরই মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতির ডাক নাম মধু ফ্যান ক্লাবের উদ্যোগে জেলা জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানো হয়। 


আরও পড়ুন-  গোমাতা পুজোয় গোমূত্র পান বিজেপি নেতৃত্বের, হইচই দিনহাটায়


এহেন শুভেন্দু অধিকারী অনুগামী সভাধিপতি তাঁর আগের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি সরে এলেন কেন! তাঁর এমন অবস্থান বদল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরাও। দিনকয়েক আগে সভাধিপতির সরকারি নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়ায় বিরোধীরা কার্যত মোশারফ হোসেনের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। এদিন আবার বিরোধীরা একযোগে সভাধিপতির এই অবস্থানের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করেছেন। এদিকে, মালদার সভাধিপতিও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর। আর তিনি তার পর থেকেই পার্টির কর্মসূচি পালন করবেন বলে বদ্ধপরিকর।