ইস্তফায় আইনি জটিলতা Suvendu-র! ইস্তফাপত্র পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা: বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
শুভেন্দু তাঁর ইস্তফাপত্রে আবেদন করেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন ওই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে তোলপাড় রাজ্যনীতি। তবে সেই রেশ কাটতে না কাটতেই প্রশ্ন উঠছে, যে পদ্ধতিতে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তা কি বৈধ? কোনও কোনও মহলের দাবি, এনিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
বুধবার বিকেলে বিধানসভায় গিয়ে বিধানসভার সচিব অভিজিত্ রায়ের কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। অধ্যক্ষের কাছে নয়। তা হলে কি শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে?
আরও পড়ুন-শুভেন্দু সরণি! পুরসভার কাউন্সিলর থেকে বিধায়ক পদে ইস্তফা, রইল এক ঝলকে
এনিয়ে রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বারুইপুরে বলেন, 'এনিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছুই জানি না। আমি বারুইপুরে রয়েছি। আজ অনেকগুলো অনুষ্ঠান ছিল। সেসব করলাম। এতে অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। আপনারা সংবাদমাধ্যমের লোকজন বলছেন, উনি নাকি ইস্তফা দিয়েছেন। আমি বিধানসভায় যাব, ওই ইস্তফাপত্রটা দেখব। তারপরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
বিমানবাবুকে জানান হয়, শুভেন্দু তাঁর ইস্তফাপত্রে আবেদন করেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন ওই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়। এনিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কার কাছে আবেদন করেছেন জানি না। আমার কাছে তো করেনি। আমার সঙ্গে কোনও কথাই হয়নি। বিধানসভা থেকেও আমাকে কিছু জানান হয়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই তা জেনেছি।
আরও পড়ুন-'TMC উঠে যাবে, ও দল আর থাকবে না': Adhir
কী ধরনের আইনি জটিলতা!
জানা যাচ্ছে, কোনও বিধায়ক তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইলে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয় বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে।
অধ্যক্ষের সামনে বসে ইস্তফাপত্র সাক্ষর করতে হয় বিধায়ককে।
ঘোষণা দিতে হয় কোনও চাপে পড়ে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, এসব কিছুই করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বিধানসভার সচিবের কাছে। নিয়ম অনুযায়ী ইস্তফাপত্র গ্রহণের কোনও এক্তিয়ার নেই সচিবের। কিন্তু তা তিনি নিয়েছেন। তবে এমন পাল্টা যুক্তিও শোনা যাচ্ছে যে, বিধানসভার সচিব শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র জমা নিয়েছেন মানে এই নয় যে তিনি তা গ্রহণ করেছেন।