দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরাতে হবে, ঝাড়গ্রাম থেকে শুভেন্দু
ঝাড়গ্রামের সভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'আন্তরিক জাতীয়তাবাদী গৈরিক অভিনন্দন' জানিয়ে রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রামে বক্তব্য শুরু করেন শুভেন্দু অধিকারী। আলাদা করে দিলীপ ঘোষের নাম করে তাঁকে সম্মান জানান। নাম করেন সুখময় সৎপথী-সহ আরও কয়েকজনের।
ঝাড়গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে শুভেন্দু বলেন, অখণ্ড মেদিনীপুরের ভূমিপত্র তিনি। এর পরই তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তৃণমূলকে তোলাবাজ ভাইপোর পার্টি বলে চিহ্নিত করেন। বলে দেন-- আমফানের টাকা চোর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা চোর তৃণমূলকে হারাতে হবে।
কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু সমবেত জনতাকে মনে করিয়ে দেন, বাম আমলে এখানকার অত্যাচারিতদের পাশে কী ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর ইঙ্গিত, যেন এখনও পরিস্থিতি সেইরকমই চলছে বলে তিনি আবার এখানকার মানুষদের রক্ষার বাসনায় এখানে এসেছেন। এর পরেই গিয়ার বদলে আবার আক্রমণাত্ম হয়ে ওঠেন তিনি। বলেন, তৃণমূলকে এখানে চারটি আসনেই হারাতে হবে। এখানে দু'টি জেলা পরিষদ তৃণমূল অন্যায় ভাবে দখল করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বাংলায় এবং দিল্লিতে একই দলের সরকার হবে। বলেন, পিসি-ভাইপোর কোম্পানি তাঁদের অপমান করেছে। এখান থেকে কাঁথির উদ্দেশ্যে চলে যান শুভেন্দু অধিকারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে ধাক্কা খেল শুভেন্দুর সভা। মাত্র হাজার-বারোশোর একটি জমায়েতে বক্তব্য রেখেছেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এটিই জঙ্গলমহলে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম যৌথ সভা ছিল। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকে এই সভার আয়োজন হয়েছিল। সভাটির নাম 'যোগদানমেলা' দেওয়া হলেও সে অর্থে যোগদান হয়নি বললেই চলে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জঙ্গলমহলে ৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আরএসএসের। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুভেন্দু তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতাই সব। এই কারণেই আজকের জনসভায় লোক ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে কম।
শুভেন্দুর পরে সভায় বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে জঙ্গলমহলের পরিবর্তন হবে। বলেন, করোনা চলে গিয়েছে, তৃণমূলও চলে যাবে। বলেন, এলাকার ছেলে তিনি আর পাশের জেলার শুভেন্দু মিলে জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করা হবে।
Also Read: সবংয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল