ওয়েব ডেস্ক: কাজই ছিল সর্বত্যাগীর সাধনা। সেই পথেই তিনি উদ্বুদ্ধ করতেন তরুণ সন্ন্যাসীদের। স্বাধীনতার পরেই গেরুয়াবসন পরে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বামী আত্মস্থানন্দ । আমরণ সেই কাজই করে গেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামকৃষ্ণ আন্দোলন মূর্ত হয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন এবং মঠের মধ্যে দিয়ে।  সর্বত্যাগীর উপস্থিতি এবং কথা মানুষকে প্রবল অনুপ্রেরণা দিত।  তাঁর দৃপ্ত কন্ঠস্বর কী ভাবে সরাসরি শ্রোতার হূদয়কে উদ্বেলিত করত, তা আজ কিংবদন্তি।


স্বামী বিবেকানন্দের মতো তিনিও প্রয়োজনে কঠোর তিরস্কার করতেন।  কিন্তু সেই তিরস্কারের পরেই মিলত তাঁর স্নেহময় স্পর্শ।   এক কথায় কাজের মধ্যেই নিরলস ছিলেন তিনি। কর্মই ছিল তাঁর প্রেরণা। কর্মই ছিল তাঁর সাধনা।


১৯৪৯ সাল। সন্ন্যাসজীবন নিয়ে মানব সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। 


১৯৫২ সালে রাঁচিতে টিবি স্বাস্থ্য নিবাস শাখার সহকারি সচিব হিসাবে যোগদান করেন।


১৯৫৮ সালে  মায়ানমারে ইয়াঙ্গন এ সেবাশ্রমের সেক্রেটারির দায়িত্ব নেন।


সন্ন্যাসীর নিরলস পরিশ্রমে সেবাশ্রম কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে ওঠে উত্‍কৃষ্ট মানের হাসপাতাল।


১৯৬৫ সালে ভারতে ফিরে আসেন আত্মস্থানন্দ।


১৯৬৬ সালে রাজকোট শাখার প্রধান হন।


১৯৭৩ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের গর্ভনিং বডির সদস্য এবং রামকৃষ্ণ মটের ট্রাস্টি নির্বাচিত হন।


ত্রাণ ব্যবস্থাপনা শাখারও সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় ভারত,বাংলাদেশে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা,জাপান,সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া,শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সফরে যান আত্মস্থানন্দ।


সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর প্রয়ানে শেষ হল সুদীর্ঘ ইতিহাসের। মানুষের জীবন যে কাজটাই যে থেকে যায়, তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ হিসাবে রয়ে গেলেন এই বলিষ্ঠ সন্ন্যাসী।