ওয়েব ডেস্ক: কোমল-কঠিন। দুই চরিত্রেরই অদ্ভুত মিশ্রন ছিল গেরুয়াবসনধারীর হূদয়ে। সন্ন্যাসীর অভিভাবকসুলভ আচরণের সঙ্গেই অভ্যস্ত ছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দর ভক্তকূল। ভালোবাসতেন গানবাজনা। সন্ন্যাসীর হূদয়ে ছিল এক রসিক মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একদিকে কোমল। অন্যদিকে তেমনই কঠিন।  তাঁর করুণাঘন রূপও দেখেছেন ভক্তকূল। আবার তাঁর দৃপ্ত বলিষ্ঠ, দক্ষ সংগঠক রূপেরও পরিচয়ও পেয়েছেন তাঁর সহ সন্ন্যাসীরা।


সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর তিনটি ইচ্ছে ছিল জীবনে।  এক হাসপাতাল গড়ে ওঠা। দুই একটি বিরাট বিশ্বজনীন মন্দির প্রতিষ্ঠা। তিন, আত্মিক উত্তরণ ও মুক্তির জন্য সকলকে রামকৃষ্ণ মন্ত্রে দীক্ষা দেওয়া।  স্বামী বিজ্ঞনানন্দজীর শিষ্য ছিলেন এই বলিষ্ঠ সন্ন্যাসী।  শ্রীরামকৃষ্ণের প্রত্যক্ষ শিষ্যদের যাঁরা শিষ্য,তিনি ছিলেন সেই বর্গের শেষ প্রতিনিধি।


অর্থাত্‍ মানুষ আসবে, মানুষ যাবে, কিন্তু আমি চিরকাল প্রবাহিত থাকল। ঠাকুর বলতেন, আত্মা অবিনশ্বর। নশ্বর দেহ বিলুপ্ত হয়। কিন্তু আত্মার বিনাশ হয়না। সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী আত্মস্থানন্দজীও সেই মহান ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করতেন সবাইকে। সর্বক্ষণ বলতেন, কাজ করে যাও কাজ। ওঠাই শুরু। ওটাই শেষ কথা।


স্বামী বিবেকানন্দের পর স্বামী আত্মস্থানন্দ হয়েছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৫ তম সাধারণ অধ্যক্ষ। বহুজন হিতায় , বহুজন সুখায়। সকলের মধ্যে কাজ করার মধ্যে দিয়েই জীবনের আনন্দ খুঁজে নিতে বলতেন এই মানবতার পূজারি। কবি,সাহিত্যিক থেকে রাজনীতিক ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ কৃপাধন্য হয়েছেন তাঁর। এক সুদীর্ঘ জীবনের অবসান হল স্বামী আত্মস্থানন্দের প্রয়ানে।  অবসান হল এক সুদীর্ঘ পরিক্রমার। যে পরিক্রমার পরতে পরতে মিশেছিল মানব প্রেম।