নিজস্ব প্রতিবেদন:  বাংলার সোনার মেয়ে স্বপ্নার মায়ের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী জলপাইগুড়ির স্বপ্বা বর্মনকে অভিনন্দ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে অভিবাদনস্বরূপ তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা চাকরির প্রস্তাব দেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়ি জলপাইগুড়ি পাতকোটা ঘোষের এক চিলতে ঘরটাতে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। ফুল, মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা দিতে সকলেই হাজির সেখানে। টালির চালের টিনের বাড়িটিই যেন রাতারাতি সকল সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে হয়ে উঠেছে। ফাটা টালির ফাঁক দিয়ে যেখানে এক চিলতে চাঁদের আলো ঢুকত, সেই ঘর এখন লাইমলাইটের নীচে।


বুধবার রাতেও ওই ঘরটাতে বসে খেলা দেখেছেন হাতে গোনা কয়েকজন! ছিল না কোনও আভিজাত্য, কোনও ঝাঁ চকচকে ব্যাপার। যা ছিল, তা হল শুধু অন্তরের টান আর পাশের বাড়ির মেয়েটাকে জিততে দেখার চরম আকাঙ্খা। চিন্তা, উদ্দীপনা শুধু স্বপ্নার বাবা-মায়ের চোখেমুখেই ছিল না, ছিল পাশের বাড়ির ‘কাকু’, ‘কাকিমা’দের চোখেমুখে। ঠিক সেই মুহূর্তটা, যখন ফিনিশিং লাইন ক্রস করলেন স্বপ্না, দৌড়ে গিয়ে কালী মূর্তির পায়ে পড়েছিলেন তাঁর মা। মেয়ে যে দেশের মান রেখেছে!  


আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমসে বুধবার ভারতের 'রেকর্ড ব্রেকিং' সাফল্য


আশা ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল একটাই।। স্বপ্নার কোমরে চোট ছিল। কিন্তু সেই ব্যাথা জয় করেই আজ বাংলার সোনার মেয়ে জলপাইগুড়ির স্বপ্না বর্মন। মুঠো শূন্যে ছুড়ে তাঁর দৌড় এবং তারপরে গ্যালারি থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে গায়ে জড়িয়ে নেওয়া দেখতে দেখতে ঘোষপাড়ার লোকজনও হইহই করে ওঠেন। 


এশিয়ান গেমসে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন স্বপ্না বর্মন। হেপ্টাথেলনে সোনা জিতে নজির সৃষ্টি করলেন জলপাইগুড়ির মেয়ে। দুদিন ধরে চলা সাতটি ইভেন্টে ছয় হাজার ছাব্বিশ পয়েন্ট অর্জন করে সোনা জিতে নেন স্বপ্না। সাতটি ইভেন্টের মধ্যে হাই জাম্প এবং জ্যাভলিন থ্রো জেতেন তিনি। শট পাট এবং লং  জাম্পে দ্বিতীয় হন স্বপ্না। একশো, দুশো এবং আটশো মিটারে পিছিয়ে থাকলেও সোনা জিতে নেন স্বপ্না। এর আগে এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলনে রুপো জিতেছিলেন বাংলার সোমা বিশ্বাস।