আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা-মশলা, সঙ্গে আস্ত একটা মুরগি! বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তমলুকের কাউন্সিলর
লকডাউনের বাজারে প্রশাসন তথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো যখন মানুষের মধ্যে চাল-ডাল বিলি করছেন বা বড়জোর খিচুড়ি-লাবড়ার তরকারি, তখন মাংস খাওয়ার জন্য আস্ত একটা মুরগিই বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন চঞ্চল খাঁড়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরবন্দি দশা! এ আপদ করোনা কবে বিদায় নেবে কে জানে! তা বলে কী মাছ-মাংস খাওয়া সব চুলোয় উঠবে! কদ্দিন আর ডাল-ভাত-সবজি খেয়ে মন ভরে বলুন তো! এদিকে আবার সরকার বলছে ঘরের বাইরে বেরোতে না! ভাল্লাগে না বাপু!
কী কথাগুলো বড্ড চেনা লাগনো না? বদ্ধ পাড়ার গলির মুখে দাঁড়িয়ে কিংবা রান্নাঘরের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে পাশের বাড়ির কাকিমার সঙ্গে মায়ের আলাপচারিতায় নিত্য হয়তো এই আলোচনাই চলছে। বিষয়টা হয়তো ভাবিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পুরসভার কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়াকে। তাই তিনি এলাকাবাসীর জন্য ভেবেছেন একটু অন্যভাবে।
লকডাউনের বাজারে প্রশাসন তথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো যখন মানুষের মধ্যে চাল-ডাল বিলি করছেন বা বড়জোর খিচুড়ি-লাবড়ার তরকারি, তখন মাংস খাওয়ার জন্য আস্ত একটা মুরগিই বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন চঞ্চল খাঁড়া।
কিন্তু মাংস রান্নার উপকরণ? সেগুলোও তো প্রয়োজন। সেটাও তিনি দিচ্ছেন একেবারেই বিনামূল্যে। পেঁয়াজ, আলু, লঙ্কা, রান্নার যাবতীয় মশলা। এক্কেবারে এলাহি ব্যাপার! অবাক হওয়ারই মতো।
গাঁটের ব্যথায় রক্ষে! করোনাকে হারিয়ে এগরার ৭৬ বছরের বৃদ্ধা বেলেঘাটা ID হাসপাতালে 'মডেল রোল'
লকডাউনের বাজারে চঞ্চল খাঁড়ার একটাই আবেদন এলাকাবাসীর কাছে, "আমরা পাশে রয়েছি। সব রকমভাবে আপনাদের ভালো রাখার চেষ্টা করব। আপনারা শুধু ঘরে থাকুন, বাজারে যাবেন না। কারণ ঘিঞ্জি বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখা অসম্ভব।"
চঞ্চল খাঁড়ার কাছ থেকে এক হাতে মুরগি আর অন্য হাতে রান্নার উপকরণ নিচ্ছেন এলাকাবাসীরা। আর তাঁদের মাস্কবন্দি চোখে মুখের চাউনিই শুধু বলে দিচ্ছে "এতটা এগিয়ে যখন আপনি ভাবছেন, আমরাও পাশে রয়েছি আপনার। ঘরে থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতব আমরা। আপদ করোনা ছুঁতেও পারবে না আমাদের গ্রামকে।"