নিজস্ব প্রতিবেদন:  ১লা অগাস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির। করোনা পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের।
রাজ্যে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বীরভূম জেলাতেও বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত সপ্তাহে দু'দিন রাজ্যব্যাপী পূর্ণ লকডাউন এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জুলাই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত দুপুর ১২ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত লকডাউন জারি করেছে। আর এই আক্রান্তের সংখ্যা নজরে রেখে তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ১লা অগাস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর মার্চ মাস থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য তারাপীঠ মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। দীর্ঘ ৯৩ দিন মন্দির বন্ধ থাকার পর জুন মাসের ২৩ তারিখ রথযাত্রা দিনে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় পূণ্যার্থীদের জন্য। তবে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দিরে পুজো দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় এবং মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে এসবের পর নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় মন্দিরের দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কমিটি।


সাধারণ পুণ্যার্থীদের জন্য মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকলেও রীতি মেনে প্রতিদিন তারা মায়ের পুজো অর্চনা করা হবে বলে জানান মন্দির কমিটির সদস্যরা। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল। ১লা অগাস্ট থেকে সাধারণ পুণ্যার্থীদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে।"

আরও পড়ুন: শেষ যাত্রায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, শ্রদ্ধা জানাতে শত মানুষের ভিড়


বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবছর কৌশিকী অমাবস্যার সময় ১২ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখা হবে। তবে সেই সিদ্ধান্তের পরেও নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তারাময় বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, "তারাপীঠ মন্দিরে শুধু বীরভূম নয়, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং রাজ্যের বাইরে থেকেও বহু পুণ্যার্থীরা আসেন। সুতরাং বাইরে থেকে এই সকল মানুষের আগমনের কারণে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর এই সকল সমস্ত দিক বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"