Jalpaiguri: তীব্র দাবদাহে ঝলসে যাচ্ছে পাতা, ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন চা-বলয়...
Jalpaiguri: তীব্র দাবদাহ উত্তরবঙ্গে। এই প্রথম জ্যৈষ্ঠেও উত্তরের জেলাগুলিতে জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা। গরমে ঝলসে যাচ্ছে চা গাছের পাতা। বৃষ্টির অভাবে সেকেন্ড ফ্লাশ চায়ের উৎপাদন ও গুণগত মান নিয়ে চিন্তায় চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে চা-বলয়।
প্রদ্যুৎ দাস: বৃষ্টি নেই। তীব্র দাবদাহ। প্রচণ্ড গরমে কাঁচা চা পাতা ঝলসে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন। অথচ বৃষ্টি নেই। তাই ব্যাপক ক্ষতির মুখে চা-শিল্প।
জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন চা-বাগানে গরমের কারণে শ্রমিকের উপস্থিতির হার অনেকটাই কম। কিছু সংখ্যক শ্রমিক কাজে যোগ দিতে এলে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ গ্লুকোজ ও জল দিচ্ছে তাঁদের। বুধবার জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানে এমন দৃশ্যই লক্ষ্য করা গেল।
আরও পড়ুন: Miyazaki Mango: আড়াই লাখ টাকা কেজি, গাছ ঝুলছে কোটি কোটি টাকার আম, ঘুম ছুটেছে বীরভূমের বাসিন্দার
বৈশাখ মাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। এই প্রথম জ্যৈষ্ঠেও উত্তরের জেলাগুলিতে জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। এমন অবস্থায় এক চরম সংকটের মুখে পড়েছে জলপাইগুড়ি-সহ বিভিন্ন জেলার ক্ষুদ্র চা-বাগানের সঙ্গে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষ। জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা-শ্রমিকেরা যে চরম সংকটে সেটা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয় শহরের ইন্ডিয়ান টি বোর্ডের কর্তাদের। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি অজয়হরি ভৌমিক জানান, এবারে এমন অবস্থার শিকার হয়েছি আমরা যে যার ফলে বাগান বন্ধ করে দেবার পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
এদিকে চা-বাগানে হামলা চালিয়েছে লুপার পোকা। যেটুকু পাতা গাছে আসছে সেটি তুলে ফেলার আগেই খেয়ে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে লুপার। চা-পাতার উৎপাদন কম হলেও বাড়েনি কাঁচা চা-পাতার দাম। সব মিলিয়ে এক ভয়ানক পরিস্থিতির সম্মুখীন প্রায় পঞ্চাশ হাজার ক্ষুদ্র চা-বাগানের সঙ্গে যুক্ত আড়াই লক্ষ মানুষ।