কিরণ মান্না: কাঁথির শান্তিকুঞ্জ অর্থাৎ অধিকারী পরিবারের আবাস। সেই বাড়িরই দোরগোড়ায় আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তাঁকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাবেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এমনটাই জানালেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ৩ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করতে আসছেন। কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে অভিষেকের সভা। সেই সভায় এলে তাঁকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ করবেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এখন এই প্রভাত কুমার কলেজ মাঠ শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি তথা অধিকারী পরিবারের নিবাস শান্তিকুঞ্জের একেবারে দোরগোড়ায়। আর সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিশাল সমাবেশ। তাই একেবারে বাড়ির কাছে আসছেন বলেই, শান্তিকুঞ্জে চা-খেয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাবেন দিব্যেন্দু অধিকারী।


 এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, বাড়ির দোরগোড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন বলে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাবেন দিব্যেন্দু। তবে উনি কতটা নিজের শালীনতা বজায় রেখে বলছেন, এটা ভাবতে বলব। কারণ এখনও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ বলে নিজেকে জাহির করেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সভা, মিটিং বা কর্মসূচিতে ওনাকে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় দলীয় হুইপও তিনি শোনেননি। তাই তাঁর আমন্ত্রণ করাটা কতটা যুক্তিসম্পন্ন হবে, সবাইকে এ কথাও ভাবতে হবে।


 


আরও পড়ুন, 'ওনার ইচ্ছে ছাড়া এই রাজ্যে গাছের পাতা নড়েনা', মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের


উল্লেখ্য, শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রীর 'চায়ের আমন্ত্রণে' সাড়া দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংঘাতের আবহে বেনজির সৌজন্যের মুহূর্ত তৈরি হয় বিধানসভায়! বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহাড়ি ও মনোজ টিগ্গা। যে প্রসঙ্গে পরে শুভেন্দু বলেন, '৩ থেকে ৪ মিনিট সৌজন্য বিনিময় হয়েছে। অন্য কিছু নেই।' অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম।' বিধানসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। প্রথমার্ধের অধিবেশন তখন শেষ, বিরতি চলছে। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতার ঘরে হাজির হন বিধানসভার মার্শাল।


কেন? মার্শাল শুভেন্দুকে জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চাইছেন'। তিনি অবশ্য একা যেতে রাজি হননি। মার্শালকে বলেন, 'আমি একা যাব না। বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে যাব। মুখ্যমন্ত্রী কি সেই অনুমতি দিচ্ছেন'? এরপর ফের মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে অনুমতি নিয়ে আসেন মার্শাল। সূত্রের খবর, ঘরে ঢুকেই মমতাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন শুভেন্দু। এরপরই আবার অভিষেককে শান্তিকুঞ্জে দিব্যেন্দুর চায়ের আমন্ত্রণ। যা নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


এখন শুভেন্দুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চায়ের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু বলেন, এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রের রীতি। এটাই হওয়া উচিত। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল নেতাদের সঙ্গে এটা করবেন, এটাই দস্তুর। বাবা শিশির অধিকারী অর্থাৎ কাঁথির সাংসদ, তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশিরদা বলে সম্ভাষণ করেন। তাতে তো তিনিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কিন্তু শিশির অধিকারীকে নিচু তলার কর্মী বা নেতৃত্বরা যে ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই বিষয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজর দেবেন বলে আশা করেন দিব্যেন্দু। তবে অভিষেককে চায়ের আমন্ত্রণ জানালেও, তিনি একথাও বলেন যে আগামী ৩ ডিসেম্বর বাড়ির লাগোয়া মাঠে সভায় তাঁর আমন্ত্রণ নেই। এভাবেই নানাভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)