নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর মুখে বোনাসের দাবিতে সোচ্চার বাগরাকোট চা বাগানের শ্রমিকরা। বোনাসের দাবি নিয়ে শুক্রবার সকালে চা বাগানের কাজ বন্ধ করে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকরা। চা বাগানের শ্রমিক রঞ্জন ওরাও, মলিনা এক্কাদের দাবি, “ডানকান্সের সব বাগানে ১৩% বোনাস দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাগরাকোট চা বাগানে কোনও বোনাস নেই। সারাবছর আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চা বাগানের পাতা তুলি। কিন্তু পুজোর সময় আমরা কেন বোনাস পাব না। তাই বোনাসের দাবিতে সকাল থেকে বাগানে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। অবিলম্বে আমাদের বোনাস দিতে হবে।“


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোর আগে শ্রমিক দাবি ন্যায্য, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেও বোনাস ঝুলিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বাগান সঞ্চালন কমিটির সদস্য সরোজ ছেত্রীর ব্যাখ্যা,“এই চা বাগানের কারখানা বন্ধ। কিন্তু, শ্রমিকরা যাতে সমস্যায় না পড়ে তাই সঞ্চালন সমিতি ও বাগান মিলে বাগরাকোট চা বাগান চালানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৮ দিনের বেতন কিছুদিন আগে দিয়েছে এই সঞ্চালন সমিতি। চা বাগানে কারখানা বন্ধ থাকায় চা পাতা তুলে বিক্রি করে মজুরি দেওয়া হয়। তাই বোনাস দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের। আমাদের ফান্ডে কিছু টাকা আছে। সেই টাকা শুখা মরসুমে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হবে। এবছর বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।“


সঞ্চালন কমিটির এই যুক্তি মানতে নারাজ বাগ্রাকোট চা বাগানের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। তাঁদের বক্তব্য, শুখা মরসুমে মজুরির কোনও নিশ্চয়তা নেই। পুজোর আগে বোনাস দিতে হবে। ১৩ শতাংশের কম বোনাস নিতেও রাজি শ্রমিকেরা। তবে বোনাস না পেলে বড়সড় আন্দোলনে নামতে পিছপা হবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন- পুজোর মুখে ৩দিনের ট্রাক ধর্মঘট, বাড়তে পারে জিনিসপত্রের দাম