নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়া ডেভিস আবাদ গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী ভলেয়াতে তার মামার বাড়ি যায়। মামার বাড়ি যাওয়ার পর মামাতো দাদা ওই নাবালিকাকে জলসা ও মেলা দেখাতে নিয়ে যায়।


আরও পড়ুন, দেওরের সঙ্গে পরকীয়া বৌদির! শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে ফেলে স্ত্রী, তারপর...


অভিযোগ, মেলায় নিয়ে গিয়েই একটি নির্জন স্থানে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তার মামাতো দাদা আবদুল গফফর ঢালি। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোর করে ওই কিশোরীর সঙ্গে সহবাস করে অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। হুমকি দেয়, অ্যাসিড ছুঁড়ে মুখ পুড়িয়ে দেবে নাবালিকার।


আরও পড়ুন, 'তোমার মা দাঁড়িয়ে আছে,' দেখা করতে গিয়ে দুঃস্বপ্নের পরিণতি কিশোরীর


ভয়ে প্রথমে বাড়িতে ঘটনার কথা চেপে যায় নির্যাতিতা নাবালিকা। এদিকে দিন কয়েক পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে, একথা বুঝতে পেরে দাদাকে সেকথা জানায় নাবালিকা। অভিযুক্ত আবদুল গফ্ফর ঢালি তখন তাকে বলে, "এ সন্তান আমাদের। একে খেয়াল রাখার দায়িত্ব তোমার।" অভিযোগ, একথা বলে ওই নাবালিকাকে কয়েকটা বড়ি খেতে দেয় সে। ওই যুবকের দেওয়া ২টো বড়ি খেয়েও নেয় কিশোরী।


আরও পড়ুন, একটা 'হাল্কা শব্দ' ভেসে আসছে, ঘরে পা দিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন গৃহকর্ত্রী


এরপরই শুরু হয় পেটে যন্ত্রণা। অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় বিছানায় পড়ে কাতরাতে থাকে সে। এঘটনা চোখে পড়ে ওই নাবালিকার বাড়ির লোকের। তারপরই সামনে আসে ঘটনাটি।  বাবা, মাকে তখন সব কথা খুলে বলে নবম শ্রেণির ছাত্রী। সব কথা জানার পর মহিলা ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং মহিলা থানার পুলিশ।