নিজস্ব প্রতিবেদন : অতিরিক্ত কার্টুন দেখার নেশা। সারাক্ষণ কার্টুনে বুঁদ হয়ে থাকত কিশোরী। এইকারণে মাঝে মাঝেই স্কুলে যেত না সে। মঙ্গলবার এইকারণে মা তাকে বকুনি দেয়। মায়ের বকুনি খেয়ে তারপরই ফাঁকা ঘরে গলায় শাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রাতের কলকাতায় তরুণীকে ধর্ষণ-খুনের চেষ্টা অটোচালকের


নরেন্দ্রপুরের রাধানগর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সোমনাথ মণ্ডল। পেশায় রাজমিস্ত্রি। সোমনাথের স্ত্রী ছায়া মণ্ডলও একটি কারখানায় কাজ করেন। তাঁদেরই একমাত্র মেয়ে সহেলী মণ্ডল। বয়স ১৩ বছর। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, টিভিতে অতিরিক্ত কার্টুন দেখার কারণে মাঝে মধ্যেই স্কুলে যেত না সহেলী। মঙ্গলবারও কার্টুন দেখার জন্য স্কুল কামাই করে কিশোরী। বকা দেন মা ছায়া মণ্ডল।


আরও পড়ুন, তিন বার বিয়েতে একই জিনিস! চতুর্থবারেও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর


এরপর বাবা সোমনাথ মণ্ডল ও মা ছায়া মণ্ডল দুজনেই কাজে চলে যান। সন্ধ্যাবেলায় কাজ থেকে ফিরে এসে সোমনাথ মণ্ডল দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় তাঁর। এরপরই দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে তিনি দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মেয়ে।


আরও পড়ুন,"এক মহিলার পাল্লায় পড়ে সব শেষ, আমি আজও ওনাকে ভালোবাসি"


সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাড়ায় খুব বেশি কারোও সঙ্গেই মিশত না সহেলী। সারাদিন একাই থাকত। সিরিয়াল দেখেই ওই কিশোরী আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।