ওয়েব ডেস্ক : আজও অশান্ত সিউড়ির কুখুরডি। বোমা ফেটে জখম হল দুই শিশু। মাঠে পড়ে থাকা বোমা ফেটেই বিপত্তি। মূল অভিযুক্ত শেখ মিলনের দাবি, বালিঘাটের গোলমাল ঘিরেই আসল সমস্যা। পরিকল্পনা করেই তাঁকে ফাঁসাচ্ছে শেখ সালেমের লোকজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। যেখানে সেখানে পড়ছে বোমা। কুখুরডির এছবি মঙ্গলবারের। ২৪ ঘণ্টা পরও অশান্তির আগুনে ধিকি ধিকি পুড়ছে কুখুরডি। ইতিউতি ছড়িয়ে বোমা। আর সকালে সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি। বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয় দুই শিশু। তাদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও পড়ুন- রায়গঞ্জের রাস্তায় হেলমেট ছাড়া বাইক বিহার দিলীপ ঘোষের


মঙ্গলবার গ্রামের ঘরে ঘরে বেপরোয়া তাণ্ডব চলে। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয় অনেকের ঘরবাড়ি। প্রতিবাদে এদিন গ্রামের রাস্তায় মিছিল বের করেন মহিলারা। তৃণমূলের পতাকা হাতে মিছিল ঘোরে গ্রামের অলিগলি।


প্রতিশোধের খেলা?


কিন্তু, কেন জ্বলছে কুখুরডি? মদ-মাদক কারবারের প্রতিবাদের মাসুল কি গুনছেন গ্রামের মানুষ? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও খেলা? মাদকের কারবারী হিসেবে নাম উঠে আসছে শেখ মানাই, শেখ মিলনের গ্রামে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পিছনেও শেখ মানাই, শেখ মিলন এবং তাদের দলবলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। শেখ মিলন কিন্তু, বলছেন অন্য কথা। তার অভিযোগ, গোলমালের আসল কারণ বালিঘাটের দখলদারি। এনিয়েই শেখ মিলনের সঙ্গে ঝামেলা শেখ সালেম গোষ্ঠীর। পুলিসের খাতায় মিলন বেপাত্তা হলেও আমরা পৌছে গেছিলাম তার কাছে। গোপন ডেরায় বসে তার অভিযোগ, বালিঘাটের দখলদারিতে কোণঠাসা হয়েই তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে সালেম গোষ্ঠী।


বালিঘাট হোক বা মাদক। আসল খেলাটা মুনাফার ভাগ বাঁটোয়ারার। তানিয়ে সংঘাত মিলন ও সালেম গোষ্ঠীর। আর তারই বলি গ্রামে নিরীহ মানুষ। এদিন ধৃত ১২ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।