নাম বদল, ৪০০ কিমি দূরে আত্মগোপন, `ব্যর্থ` করে ৬ বছর পর পুলিসের জালে খুনি!
২০১৪ সালে এক রাতে দম্পতিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করে পরিচারিকা মঞ্জু। আরতী দেবীর মৃত্যু হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুলিসের হাত থেকে বাঁচতে নাম বদল করেছিল। তারপর গা-ঢাকা দিতে ৪০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আস্তানা গেড়েছিল। যদিও 'শেষরক্ষা' করতে পারল না খুনি। ৬ বছর পর অবশেষে পুলিসের জালে ধরা পড়ল কোচবিহারের দিনহাটায় দম্পতি খুন ও খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা ওরফে পূর্ণিমা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটায় সুবোধ চক্রবর্তী ও আরতী চক্রবর্তী নামে এক দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত মঞ্জু সাহা। ২০১৪ সালে এক রাতে ওই দম্পতিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করে পরিচারিকা মঞ্জু। আরতী দেবীর মৃত্যু হয়। তবে সুবোধবাবু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান। এদিকে এই ঘটনার পরই ওই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বাড়ির পরিচারিকা মঞ্জু সাহা।
দিনহাটা থানার পুলিস তদন্ত শুরু করার পর অভিযুক্ত হিসেবে মঞ্জু সাহার নাম উঠে আসে। কিন্তু অনেক তল্লাশি চালিয়েও খুনি মঞ্জু সাহার বর্তমান ঠিকানার কিনারা করতে পারেনি পুলিস। সম্প্রতি দিনহাটা পুলিস গোপন সূত্র মারফৎ খবর পায় যে, অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা নাম পরিবর্তন করে পূর্ণিমা সাহা নামে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের চণ্ডীতলায় বোন সরস্বতী ঘোষের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে।
এরপরই দিনহাটা থানার পুলিস দ্বারস্থ হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিসের কাছে। দিনহাটা পুলিসের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরই রায়গঞ্জ থানার আইসি চণ্ডীতলায় তল্লাশি চালিয়ে সরস্বতী ঘোষের বাড়ি থেকে খুনে অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা ওরফে পূর্ণিমাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করে তার বোন সরস্বতী ঘোষকেও। পুলিস জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি আত্মগোপন করতেই যে সে নাম বদল করে এখানে ছিল, তাও স্বীকার করেছে। বুধবার ধৃতদের দুজনকেই দিনহাটা পুলিসের হাতে তুলে দেয় রায়গঞ্জ জেলা পুলিস।
আরও পড়ুন, দেশের মধ্যে প্রবীণতম, করোনা জয় করে হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন ডায়মন্ড হারবারের ৯৯ বছরের বৃদ্ধ