নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী গত হয়েছেন বহুদিন। পরিচারিকার কাজ করে যা আয়, তা ফুরিয়ে যায়  চাল-নুন কিনেই। বিবাহযোগ্যা এক মেয়েকে নিয়ে কোনওমতে দিন গুজরান। মেয়ের বিয়ের পাত্রও ঠিক। কিন্তু বিয়ের ওত খরচ জোগানোর সামর্থ্য কোথায়!  অতএব, দু’বাড়ির সম্মতিতেই গ্রামের ‘বহু প্রসিদ্ধ’ মন্দিরেই বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত। নির্দিষ্ট লগ্নেই মন্দিরে চার হাত এক হল, সিঁদুর দান, মালাবদল, মিষ্টিমুখ-সবই হল প্রথা মেনেই। শাখ-উলু ধ্বনিতে গমগম করল মন্দির চত্বর। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল! কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। বিয়ে করিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ হাকাল পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা!  তারপর...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আন্ডারপ্যান্ট পরিয়ে বাড়ি পাঠাবো’, অধীরকে চ্যালেঞ্জ অনুব্রতর


জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা রীত রায়। তাঁর স্বামী দশ বছর আগে মারা গিয়েছেন। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর চর এলাকার পাত্র ভোলা মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তাঁর একমাত্র মেয়ে পূজার। কিন্তু টাকার অভাব থাকায় স্থানীয় বোদাগঞ্জের ভামরি মন্দিরে বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রীতি মেনে বিয়েও হয়। অভিযোগ, বিয়ে শেষ হতেই মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়।


পাত্রীর পরিবারের আরও অভিযোগ, ওত টাকা চাঁদা দিতে পারবেন না জানানো মাত্রই তাঁদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মন্দির থেকে বের করে দেওয়া হয়। চাঁদা নিয়ে রফা চলতে থাকে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে। শেষমেশ তিন হাজার টাকার রফা হয়। অভিযোগ, তিন হাজার টাকা দেওয়া হলেও মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে দেড় হাজার টাকা বিল ধরানো হয়। শুধু তাই নয়, রসিদটি ২০১৪-১৫ সালের বলে জানিয়েছে পাত্রীর পরিবার।


আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে চলন্ত থেকে জ্বলন্ত হল স্কুটি


এবিষয়ে পাত্রীর দাদু সুদামা মণ্ডল বলেন, ‘আমার মেয়ে গরিব। তাই নাতনির বিয়ে মন্দিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যা করল, তাতে আমরা মর্মাহত। তিন হাজার টাকা নিল বটে, কিন্তু দিল পুরনো দেড় হাজার টাকার বিল।‘



বিচার চাইতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। মন্দিরে চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার।