তখন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা তুঙ্গে। তেমনই একদিন দুপুরে বেজে উঠল মোহন-বাঁশি। রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন রাধা। বাঁশি শুনে সব ফেলে ছুটলেন। আয়ান ঘরে ফিরলে সব কথা তাঁকে বলা হল। নিজের চোখে রাধার কীর্তি দেখতে আয়ান ছুটলেন বনের দিকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু কী দেখলেন তিনি?


রাধা অরণ্য়ের এক বৃক্ষমূলে কালীমূর্তির পূজো করছেন। দেখে মুগ্ধ আয়ান। কেননা আয়ান নিজে কালীভক্ত। নিজের স্ত্রী শ্রীরাধাকেও তিনি সেদিন স্বয়ং আদ্যাশক্তি হিসাবে অনুভব করলেন।


তা না হয়, হল। কিন্তু কৃষ্ণবাঁশি শুনে যমুনাতীরের অরণ্যে ছুটে যাওয়া প্রেমমত্ত রাধার সামনে এই কালীমূর্তি আবির্ভূত হওয়ার রহস্যটা কী? আসলে প্রেমিকা রাধার মর্যাদা রক্ষা করতেই কৃষ্ণের এই কালী-লীলা। আয়ান আসছেন জানতে পেরে তিনি দ্রুত কালীমূর্তি ধারণ করেন। যা দেখে সন্তুষ্ট হন আয়ান। সন্দেহ ঘোচে রাধার বিষয়ে। 


আরও পড়ুন: জাতীয় যুব দিবসে স্মরণে স্বামী বিবেকানন্দ


এই ঘটনাটি স্মরণ করেই বুধবারের এই 'রটন্তী কালী পূজা'। মাঘ মাসের চতুর্দশী অমাবস্যায় এই কালীর পূজা হয়।


বলা হয়, 'রটনা' থেকেই 'রটন্তী' শব্দটা এসেছে। রটনা-র অর্থ-- প্রচার। সেই হিসাবে মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনেই দেবীর মহিমা চতুর্দিকে রটেছিল। আজও রটে।


আয়ান-রাধার ঘটনার সঙ্গে তাল রেখে এই পুজোর ফলপ্রাপ্তিও। যাঁদের জীবনে দাম্পত্যকলহ চলছে, কথিত আছে, এই পুজো করে তাঁরা কলহ-পর্ব পেরিয়ে নতুন করে প্রেমের স্নিগ্ধতায় অবগাহন করেন। 


অন্য একটি মতে রয়েছে, এদিনই দেবী ছিন্নমস্তার আবির্ভাবতিথি। দেবী পার্বতী তাঁর সহচরীদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য নিজের মুণ্ড কেটে ত্রিধারায় রক্তবারি বইয়ে দিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: সঙ্ঘজননী সারদাদেবী, এক শাশ্বত মাতৃমূর্তি