নিজস্ব প্রতিবেদন: একমাসেই শরীরের সব রক্ত শেষ। এখন ছমাস লাগে। ছোটবেলা থেকেই শরীরে কামড় বসিয়েছে থ্যালাসেমিয়া। তাতেও দমে যায়নি চন্দননগরের প্রতিমা শিল্পী কিশোর পাল। শারীরিক সব প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়েই এখন মৃন্ময়ীমাকে চিন্ময়ী গড়ে তোলার সাধনায় বুঁদ এই প্রতিমা শিল্পী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরীরে মারণ যন্ত্রণা। তবু সৃষ্টির নেশায় বুঁদ তেরোর কিশোর পাল। মাস ফুরোলেই রক্তশূন্য শরীর। শরীরে বাসা বেঁধেছে দূরারোগ্য থ্যালাসেমিয়া। তবু  রক্তের জোর কমেনি।  হাড় জিরজিরে শরীরে। সৃষ্টির নেশায় উধাও সব যন্ত্রণা।বাতাসে আগমনীর সুর। কুমোরপাড়ায় তুমুল ব্যস্ততা। ছোট্ট কিশোরেরও এখনও নাওয়া খাওয়ার সময় নেই।চন্দননগরের পাল পাড়ায় দাদুর সঙ্গেই চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। খড়-বিচুলির কাঠামো। তার ওপর পড়ছে মাটির প্রলেপ।  চলছে উনিশ ফুটের দুর্গা বানানোর কাজ।  ২২ ফুট লম্বা রথের ওপর তৈরি হবে দেবী দুর্গা। ছয় মাস ধরে প্রতিমার সঙ্গেই ঘর সংসার বেঁধে নিয়েছে ছোট্ট কিশোর।



হাড় পাঁজর বেরিয়ে আসা শরীর। রক্তের অভাবে ঘোলাটে চোখ।  তবু এখনও ওর হাসিতে সূর্য লজ্জা পায়। জেগে ওঠে সৃষ্টির এক অনাবিল আনন্দ। মাস ফুরোলেই রক্ত বদলের চিন্তা। 
টাকার জোগাড়। মায়ের চোখ কেঁদে কেঁদে শুকনো। দূর্বল হয় শরীর। তবু ভেঙে পড়া বাবা-মাকেই সাহস জোগায় কিশোর। ছোট্ট হাত শক্ত হয়। এক মনে মায়ের শরীর গড়ায় বুঁদ হয় ছোট্ট ছেলে। চোখে মায়াবী সৃষ্টির আলো। মায়ের ভরসাতেই ভবনদীর পারে তরি ভাসিয়েছে যে কিশোর, তার আবার কিসের ভয়?