নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষা আসলে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে হাজার হাজার গ্রামবাসী যোগাযোগ ব্যবস্থা । প্রতি বছর বর্যার সময় এই চরম দুর্ভোগের শিকার হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ১ নম্বর ব্লকের সন্ধিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজবল্লভপুর, বীরভানপুর, কিশোরপুর-সহ দশটি গ্রামের হাজারখানেক গ্রামবাসী ।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুল , কলেজ , হাসপাতাল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে দশটি গ্রামের মানুষের  যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম রাজবল্লভপুর শিলাবতী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো । এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর শহর, চন্দ্রকোণা এবং গড়বেতা যাওয়ার একমাত্র পথ এই বাঁশের সাঁকো । বর্ষা আসলেই গ্রামের মানুষদের মেহনতের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে যায় । এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি । বরং এবার বেশি বর্ষা হওয়াতে ভাঙন  আরও ব্যপক আকারে হয়েছে ।


 দশটি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে এখন যাতায়াতের একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকো । কিন্তু সেই নৌকও চাপতে হলে নামতে হয় ১০ফুট নীচে । এক দিকে খরস্রোতা নদী, উঁচু পাড় । নৌকো থেকে নেমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের ভাড়া বেয়ে নেমে আবার উপরে ওঠে গন্তব্যে পোঁছোতে হয় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে প্রতিদিন শতাধিক মানুষকে।
এর ফলে মাঝেমধ্যে  ঘটে নৌকোডুবির মতো ঘটনা । আবার কখনও অনেকে বাঁশের ভাড়া বেয়ে উঠতে গিয়ে পড়ে যায় নদীর জলে । প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি যাতায়াত করেন দশটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ।


গ্রামবাসীদের অভিযোগ , “ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম রাজবল্লভপুর শিলাবতী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। এই শিলাবতী নদীর উপর দশটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধের জন্য প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নেয়নি । বহুবার দরবার করেও কোন স্থায়ী সেতু তৈরি করে দেয়নি প্রশাসন।"

তাই গ্রামের মানুষ নিজেদের উদ্যোগে প্রত্যেক বছর নদীতে জল কমলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ।  আর ফি বছর সেই সাঁকো ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায় শিলাবতী নদীর স্রোত । যোগাযোগের এমন বেহাল দশার কারণে গ্রামে  কোন আত্মীয়স্বজন আসে না । বেহাল পরিস্থিতি বলে এলাকায় অধিকাংশ ছেলেমেয়ের বিয়ে ভেঙে যায় ।

আরও পড়ুন: লকডাউনে কাজ হারিয়ে বিষ খেল ছেলে, এক ফোঁটা না কেঁদে বাবা উল্টে যা করলেন...


এই খরস্রোতা নদীতে স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরা নিজেরা নৌকো বেয়ে নদীর পারাপার করে । প্রতিনিয়ত বিপদের ঝুঁকি থেকেই যায় । বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় কিন্তু প্রশাসনের নজরে আসেনি দশটি গ্রামের দুর্দশা । এই বিষয়ে গড়বেতা ১ নম্বর ব্লকের যুগ্ম বিডিও বিশ্বনাথ ধীবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন , “একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি আমরা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করব।“