নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘরের ছেলের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসেছিল পুরুলিয়ার গ্রাম। আজ অপেক্ষায় ইতি পড়ল। ছেলে নয়, আজ গ্রামে পৌঁছল পথ-দুর্ঘটনায় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নিথর দেহ! শোকস্তব্ধ গ্রামে আজ হাহাকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুদূর সেই রাজস্থানে গিয়েছিলেন রুজিরুটির খোঁজে। লকডাউনের বন্দিদশা সর্বশান্ত করেছিল পুরুলিয়ার শ্রমিকদের। তারপর ঘরে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন অবিরাম। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ-বিহার হয়ে বাংলামুখী ট্রাকে সওয়ারও হয়েছিলেন। কিন্তু ঘরে আর ফেরা হল না!  মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মাঝপথেই মৃত্যু হয় পুরুলিয়ার ৬ শ্রমিকের। সোমবার, শেষমেশ ঘরে ফিরল ঘরের ছেলের নিথর দেহ! 


উত্তরপ্রদেশ থেকে এদিন সকালে ৬ শ্রমিকের দেহ এসে পৌঁছয় পুরুলিয়া মেডিকেলে। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে মৃতদেহ পৌছে যায় তাঁদের বাপ-দাদার ভিটেয়। ঘরের ছেলেকে শেষবার দেখতে এদিন পুরুলিয়ার দুমদুমি, ঝালমামরা, টরি গ্রামে উপচে পড়ে ভিড়। 


৬ শ্রমিকের দেহ নিয়ে এদিন ঘরে ফিরেছেন দুর্ঘটনায় আহত আরও ৩ শ্রমিক। উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মৃতদেহের সঙ্গে আহত শ্রমিকদের একই গাড়িতে তুলে দেয় যোগী-প্রশাসন। বেশ কিছুটা পথ এভাবে এগোনোর পর শ্রমিকরা ক্ষোভপ্রকাশ করলে আহতদের অন্য গাড়িতে তোলা হয়। দেহ ফেরাতে মুঘলসরাইয়ে শববাহী গাড়ি পাঠায় বাংলার সরকার,আহতদের জন্য পৌছয় অ্যাম্বুল্যান্স। 


দুর্ঘটনার স্মৃতি আর বন্ধুহারানোর শোক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাঁদের। শোকে পাথর গ্রাম। পুলিসকর্মীরা যতটা পারছেন সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মানার কথা বলছেন। কিন্তু শোকস্তব্ধ গ্রামে এখন  শুধুই হাহাকার।