তাড়াহুড়ো করে অনাস্থা কেন? প্রশ্ন তুলে হালিসহর অনাস্থায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
![তাড়াহুড়ো করে অনাস্থা কেন? প্রশ্ন তুলে হালিসহর অনাস্থায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের তাড়াহুড়ো করে অনাস্থা কেন? প্রশ্ন তুলে হালিসহর অনাস্থায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_500x286/public/2019/07/19/201396-halisahar.jpg?itok=MqcJsDdF)
২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হালিসহর অনাস্থায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। ২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এরপর ফের এই মামলার শুনানি। শুক্রবার বিকালেই হালিসহর পুরসভার অনাস্থা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার মধ্যেই এই স্থগিতাদেশ।
উল্লেখ্য, যে পদ্ধতি এই অনাস্থা আনা হয়েছে, অর্থাত্ হালিসহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় যেভাবে নিজের বিরুদ্ধেই অনাস্থা এনেছেন, তা বেআইনি এই দাবি করে বিজেপির কাউন্সিলর বন্ধুগোপাল সাহা হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ১৬ তারিখ একটি নোটিস জারি করা হয় এবং সেদিনই জারি করা হয়, ১৯ জুলাই অর্থাত্ আজকে পুরসভায় অনাস্থা বৈঠক করা হবে। ১৭তারিখ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাকি কাউন্সিলরদের এই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের কোনও বার্তা দেওয়া যায় না। এই বিষয়টিও হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী।
এদিন সবটা শোনার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “তাড়াহুড়ো করে অনাস্থা আনা হচ্ছে।” সেক্ষেত্রে ২৩ জুলাই পর্যন্ত হালিসহরের অনাস্থায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী শুনানির পরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থাত্ হালিসহর পুরসভা তৃণমূলের না বিজেপির? এই উত্তর এখনই পাওয়া যাবে না।
“চেয়ার আঁকড়ে আছেন কেন? আপনি কেন এত নির্লজ্জ?”, বনগাঁর চেয়ারম্যানকে চরম ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, ২৩ আসনের হালিসহর পুরসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২। একজন নির্দল, একজন বিজেপি। ২৮ মে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে হালিসহর পুরসভা দখল করে বিজেপি। ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর ১০ জুলাই ৯ জন কাউন্সিলর হালিসহর পুরসভায় এসে দাবি করেন, তাঁরা সকলেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যা হল ১২। বিজেপির দখলে ৯টি আসন।
সম্প্রতি হালিসহর পুরসভার ১১জন কাউন্সিলর পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। আনছে যার মধ্যে২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তারপরই পুরপ্রধান অংশুমান রায় শুক্রবার বৈঠক ডাকেন। এক্ষেত্রে মামলাকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থাএনেছে। সেক্ষেত্রে তাদের একটি অভিসন্ধিও রয়েছে। যাতে আগামী ৬ মাস তৃণমূল চেয়ারম্যান অংশুমান রায়ের বিরুদ্ধে কেউ অনাস্থা আনতে না পারে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ তৃণমূলের। সেই বিষয়টি উল্লেখ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।