নিজেরাই কমিটি গড়ে রিপোর্ট দিক, বেসরকারি স্কুলগুলোকে নির্দেশ হাইকোর্টের
সকলের জন্য একটিমাত্র নির্দেশ জারি করলে এ ক্ষেত্রে তা সঠিক হবে না বলেই মনে করছে হাইকোর্ট। কাজেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনজন শিক্ষক ও তিনজন অভিভাবক নিয়ে কমিটি গড়বে প্রতিটি স্কুল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেসরকারি স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখবে না সুপ্রিম কোর্ট, একথা জানিয়ে আগেই মামলা ফেরানো হয়েছিল হাইকোর্টে। স্থগিতাদেশ ছিল হাইকোর্টের তৈরি করা দুই সদস্যের কমিটির ওপরেও। এবার স্কুলগুলিকে নিজেদের কমিটি গড়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
জানানো হয়েছে, যে ১৪৫ টি স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেগুলির কাঠামো ভিন্নভিন্ন রকমের। সেখানে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও আলাদা। কাজেই সকলের জন্য একটিমাত্র নির্দেশ জারি করলে এ ক্ষেত্রে তা সঠিক হবে না বলেই মনে করছে হাইকোর্ট। কাজেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনজন শিক্ষক ও তিনজন অভিভাবক নিয়ে কমিটি গড়বে প্রতিটি স্কুল।
সেই কমিটিই স্কুলের ছাড় সংক্রান্ত বিষয় ঠিক করবে। এ ক্ষেত্রে নির্দেশ মামলায় যুক্ত হওয়া গার্জিয়ান ফোরাম থেকেই কমিটির অভিভাবক সদস্য নিতে হবে। প্রতিটি স্কুলের প্রতিনিধি কমিটি থেকেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: আমি নাকি বলেছিলাম, ভোটে জিতলে সব হিন্দুদের বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেব: মমতা
দুই সদস্যের কমিটির কাছে স্কুলগুলি যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে কমিটি সন্তুষ্ট নয়। বহু ক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হয়নি। এমনকি যে ভাবনা থেকে কোট এই নির্দেশ দিয়েছিল, তাও না মেনে যান্ত্রিকভাবে নির্দেশ পালন করা হয়েছে বলে মনে করছে আদালত।
রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি-বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের গঠন করা দুই সদস্যের কমিটি ও তার কার্যকলাপের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জানানো হয়েছিল, বেসরকারি স্কুলের আয়-ব্যায়ের হিসাব খতিয়ে দেখবে না সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, আবারও নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাতে পারেন মামলাকারী স্কুলগুলো। হাইকোর্ট ফের শুনানি করে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকরী হবে না কমিটি।
বেসরকারি স্কুলগুলিতে টিউশন ফি ছাড়াও অন্য বিভিন্ন খাতে যে বিপুল অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়, এই মহামারীর সময় সেই বাড়তি টাকা নেওয়া বন্ধ হোক। কিছুদিন আগে এমনই দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রায় ১৫ হাজার অভিভাবক। মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যায় কয়েকটি স্কুল।