নিজস্ব প্রতিবেদন:  দেশে আরও বড় নাশকতার ছক কষেছিল কওসর। তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরালায় জাল বিছিয়েছিল সে। মূলত দক্ষিণ ভারতে শক্তি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা ছিল তার। খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কওসরকে গ্রেফতারের পর এনআইএ-এর হাতে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কওসরকে দলে ডেকেছিল আইসিস। কিন্তু আইসিসের প্রস্তাব মেনে নেয়নি কওসর। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড়সড় নাশকতার ছক ছিল তার।  এক্ষেত্রে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরালায় শক্তপোক্ত ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা ছিল তার। ১৫ জনকে চেন্নাই নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছিল কওসর। বেঙ্গালুরুতে কওসরের ডেরায় মিলেছে বিস্ফোরক ডিভাইস। কেরালা থেকে কওসরের এক সাগরেদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: পিছন থেকে শাড়ির আঁচলে টান, তাকাতেই মহিলার সঙ্গে বারাকপুরের কাউন্সিলর যা করলেন...


সোমবার খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কওসরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। বেঙ্গালুরু স্টেশন তাকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক কওসরকে ধরতে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। তাকে ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে  পাটনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার বাসস্থান থেকে কিছু ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য ও কিছু বিস্ফোরকের নমুনা উদ্ধার হয়েছে।  


গত জুলাইয়ের ৮ তারিখ খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও এক অভিযুক্ত সোহেল মেহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ এই জঙ্গিনেতার উপরেও ১০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন।


আরও পড়ুন: ফুলশয্যার রাতেই দরজায় কড়া, ঘর থেকে বেরোতেই গলা শুকিয়ে গেল নব দম্পতির


২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জঙ্গিদের একটি ডেরায় বিস্ফোরণ ঘটে। দু’জন মারা যায়। তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-এর বিশাল নেটওয়ার্কের কথা জানা যায়। ঘটনায় দুই জামাত নেতা কওসর ও সোহেল মেহফুজ ওরফে হাতকাটা নাসিরুল্লার নাম উঠে আসে। এ-পার বাংলার মাটিকে ব্যবহার করে ও-পার বাংলায় ধারাবাহিক নাশকতার প্রস্তুতি চলছিল বলে চার্জশিটে জানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।