নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী জেপি নাড্ডা নিরাপদে ডায়মন্ডহারবার পৌঁছেছেন। তাঁর কনভয়ে কিছু হয়নি'। নাড্ডার যাত্রাপথে হামলার প্রসঙ্গে টুইট করে এমনটাই জানাল রাজ্য পুলিস। এ দিন জেপি নাড্ডা ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছনোর পর নিজেদের টুইটার হ্য়ান্ডেলে রাজ্য় পুলিস লিখেছে, 'ফলতা থানার অধীন দেবীপুরে কনভয়ের থেকে অনেক পিছনে থাকা গাড়ির দিকে আচমকাই পাথর ছোড়েন কয়েকজন পথচারী। এখন সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত চলছে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিজেপির পরিকল্পনা মাফিক হামলায় বাংলার শান্তি নষ্ট হচ্ছে: সুব্রত মুখোপাধ্যায়


বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারে কর্মসূচিতে যাওয়ার সময়ে নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার সভার আগে শিরাকোল মোড় থেকে দফায় দফায় আটকায় তাঁর কনভয় । গাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর করা হয় বাস, সংবাদমাধ্যমের গাড়ি।


ইট ছোড়া হয় কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গাড়িতেও। ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পুলিসের উপস্থিতিতে এই হামলা হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য পুলিস। তাঁদের দাবি, সরাসরি কনভয়ে কোনও হামলাই হয়নি। 




একই সুর শোনা গিয়েছিল পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। ঘটনাকে 'পরিকল্পনা মাফিক হামলা' বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য তৃণমূলের বদনাম করতেই এই চক্রান্ত করেছে গেরুয়া শিবির। তাঁর কথায়, 'এই হামলার পিছনে যদি গেরুয়া শিবিরের হাত থাকে, তবে তিনি অবাক হবেন না'। যদিও তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, 'এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।' 


যদিও অন্যদিকে  বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ 'আজ গণহত্যার চক্রান্ত ছিল, তৃণমূল যেভাবে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আক্রমণ করেছে, পাকিস্তান-আফগানিস্তানেও এমন হয় না। ডায়মন্ডহারবারে আজ যে ঘটনা ঘটেছে, তা কলঙ্কময় দিন। কালো দিন। এ জন্যই তৃণমূল সরকারকে বিদায় নিতে হবে'। এমনটাই বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।