নিজস্ব প্রতিবেদন: সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। রণংদেহি রাজ্য সরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নজিরবিহীনভাবে লক্ষাধিক মানুষকে স্বেচ্ছাবন্দি থাকার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যভবন। সতর্কতার মধ্যেই রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩-এ। যদিও ইতিমধ্যেই ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বলার অপেক্ষা রাখে না কামড় শক্ত করছে করোনা। বাড়ছে সংক্রমণের হার। দেশের তুলনায় বাংলার পরিস্থিতি ভাল, এমন আত্মতুষ্টির জায়গা আর নেই। সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যভবনের পরিসংখ্যান বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে পরপর ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। 


ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ৩ হাজার ৩৯১ জনকে বাড়িতে নজরদারিতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে  ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪১৯ জনকে। হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৮৭ জনকে। পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় লক্ষাধিক মানুষকে হোম সার্ভিলিয়েন্সে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।


কাদের স্বেচ্ছাবন্দির নির্দেশ? যাঁদের বিদেশযাত্রার ইতিহাস রয়েছে বা ভিনরাজ্য থেকে এসেছেন। বিদেশ ফেরত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কিংবা ভিনরাজ্যের কারোর সংস্পর্শে এসেছেন। সোমবার মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন আরও একজন। মঙ্গলবারও করোনার বলি রাজ্যে। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয় হাবড়ার এক মহিলার। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৩ জন। হাওড়ায় মৃত্যু হওয়ার মহিলাও কোভিড নাইট্টিনের শিকার। নিশ্চিত নাইসেড। সংক্রমণের জেরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আরও ২১।


ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি টালিগঞ্জের প্রৌঢ়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পিয়ারলেসে সঙ্কটজন আরও ১জন। সল্টলেকের আমরিতে ১ করোনা রোগী ভেন্টিলেশন। অ্যাপোলতে  ২জন করোনা আক্রান্ত ভেন্টিলেশনে। বেলঘড়িয়ার ফাস্টফুট ব্যবসায়ীর অবস্থাও সঙ্কটজনক।  আশঙ্কার মধ্যে আশার আলো এক্কেবারে যে নেই তা নয়। করোনা আক্রান্ত ৩জন এখন পুরোপুরি সুস্থ। এদিনই বাড়ি ফিরলেন তাঁরা।